মা দিবসে অ্যাপগুলো সময়মতো পণ্য পৌঁছে দিতে পারেনি, অনেক ক্ষেত্রে সরবরাহ একেবারেই দেওয়া হয়নি এবং মূল্য ফেরতের বেলায় ধীর গতি এমন বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে-- খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
করোনাভাইরাসের কারণে মার্চের শেষ থেকেই কলোম্বিয়াতেও চলছে লকডাউন। এ কারণে গত রোববার মা দিবসে খাবার এবং উপহার বিতরণের জন্য অ্যাপগুলোর ওপরই বেশি নির্ভরশীল ছিলেন বাসিন্দারা।
কলোম্বিয়ার সুপারইনটেনডেনসি অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্সের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতি বলছে, অ্যাপভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, তারা কতো সংখ্যক অর্ডারের আশা করেছিলো, কীভাবে তারা প্রস্তুত ছিলো এবং সরবরাহের সম্ভাব্য সময় তারা কীভাবে ধারণ করেছে।
নীতিনির্ধারক সংস্থাটি আরও জানতে চেয়েছে, সরবরাহ সময়ের ক্ষেত্রে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো সেগুলো কীভাবে বদলানো হয়েছে।
“ভোক্তা অধিকার অমান্য করে এমন যে কোনো বিষয় শনাক্ত হলে, চার লাখ ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।” - বলেছে সংস্থাটি।
অন্যদিকে বিবৃতিতে র্যাপি বলেছে, রোববার সার্ভার ব্যর্থতার কারণে যে অসুবিধাগুলো হতে পারে তারা সে বিষয়টি বুঝতে পারছে এবং এগুলো সমাধানের চেষ্টা করছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, “আমাদের কাছে থাকা সব তথ্য দিয়ে আমরা এই অনুরোধে সাড়া দিতে কাজ করছি এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করছি, যা আমরা সব সময় করে আসছি।”
উবার জানিয়েছে, নীতিনির্ধারকের কাছ থেকে তথ্য চেয়ে একটি অনুরোধ এসেছে এবং তা যাচাই করে দেখছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিবৃতিতে আইফুড বলেছে, তদন্তের ব্যাপারে তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু তারা সহযোগিতা করতে আগ্রহী। অ্যাপের মাধ্যমে যে অভিযোগগুলো এসেছে প্রতিটির জবাব দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি ডমিসিলিওস ডটকম।