সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যটন এবং ভ্রমণ শিল্প আবারও বাঁচিয়ে তুলতে যে প্যাকেজ নিয়ে আসা হচ্ছে, সেটির অংশ হিসেবে ট্রেসিং অ্যাপের ব্যবহারকে স্বতঃপ্রবৃত্ত করার আহবান জানানো হবে। -- খবর রয়টার্সের।
লকডাউন তুলে নিতে এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে না দিয়ে অর্থনীতি চালু করতে ট্রেসিং অ্যাপের দিকে ঝুঁকছে বিশ্বের দেশগুলো। মহামারীর দ্বিতীয় ধাক্কা এসে পৌঁছানোর আগেই ট্রেসিং অ্যাপ নির্ভর হতে চাইছে বিশ্বের বহু দেশ।
কিন্তু বিষয়টিকে ঘিরে গোপনতা লঙ্ঘন ও সরকারি নজরদারির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের অ্যাপ ব্লুটুথ তরঙ্গের মাধ্যমে সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিবর্গের ব্যাপারে জানবে এবং তাদের মধ্যে কেউ কোভিড-১৯ রোগী হলে বা কারো পরবর্তীতে করোনাভাইরাস পজিটিভ হলে, সে সম্পর্কে ব্যবহারকারীকে সতর্কবার্তা জানাবে অ্যাপ।
নজরদারি ও গোপনতা লঙ্ঘন শঙ্কা লাঘবের জন্যই এবার মাঠে নামছে ইইউয়ের কমিশন। সংস্থাটি জানিয়েছে, পরিবহন সেবা পাওয়ার বিষয়টি অ্যাপের ব্যবহারের অধীন করা উচিত হবে না। পাশাপাশি, “কনট্যাক্ট ট্রেসিং এবং সতর্কতা ব্যবস্থা, মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত ভিত্তিতে হওয়া উচিত”। - কমিশন বলেছে এক নথিতে।
ফ্রান্স ও অ্যাপলের দ্বন্দ্বের পর কেন্দ্রীভূক্ত ও ক্রেন্দ্রবিমুখ অ্যাপের জন্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এমন উদ্বেগ বাড়ছে। করোনাভাইরাস ট্রেসিং অ্যাপের জন্য প্রযুক্তি বানাচ্ছে অ্যাপল-গুগল জোট। শুধু কেন্দ্রবিমুখ অ্যাপকে ওই প্রযুক্তি দেবে প্রতিষ্ঠান দুটি।
ফ্রান্স কেন্দ্রীভূক্ত অ্যাপ বানিয়ে সাহায্য চেয়েছিল অ্যাপলের কাছে। সে আবেদনে সাড়া দেয়নি অ্যাপল।
চার্জ বাঁচাতে কিছুক্ষণ পরপর ব্লটুথ তরঙ্গ বন্ধ করে দিতে থাকে আইফোন, ফলে সঠিক তথ্য দেখাতে পারে না কনট্যাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ। অ্যাপলকে ওই ব্লুটুথ তরঙ্গ সমস্যার সমাধান করে দিতে বলেছিল ফ্রান্স।