বিদ্বেষমূলক পোস্টে আগের চেয়ে বেশি কঠোর ফেইসবুক

এই প্রান্তিকে নিজেদের অ্যাপগুলো থেকে সহিংসতা প্রচারণা ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের পোস্ট আগের তুলনায় বেশি মুছে দিয়েছে ফেইসবুক। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে ‘কারিগরি উন্নয়ন’-এর কারণে এমনটা সম্ভব হয়েছে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 May 2020, 11:37 AM
Updated : 13 May 2020, 03:23 PM

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজেদের ফ্ল্যাগশিপ অ্যাপ থেকে এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিদ্বেষ প্রচারক সংগঠন সংশ্লিষ্ট ৪৭ লাখ পোস্ট মুছেছে ফেইসবুক। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে এ সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ। সে হিসেবে এবার প্রায় তিনগুণ পোস্ট মুছেছে ফেইসবুক। এই প্রান্তিকে ৯৬ লাখ বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের পোস্ট-ও মুছেছে ফেইসবুক।

ছাড়াও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পাঁচ কোটি পোস্টে সতর্কবার্তা জুড়ে দেওয়ার খবরও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ এক সংবাদ কল সেশনে বলেছেন, “এই সতর্কবার্তা যে কাজ করে, সে ব্যাপারে আমাদের ভালো ধারণা রয়েছে। ৯৫ শতাংশ সময়েই যখন কেউ লেবেলসহ কোনো কনটেন্ট দেখে, তারা কনটেন্ট দেখার জন্য আর ক্লিক করে না”।

নিজেদের পঞ্চম ‘কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট’-এর অংশ হিসেবে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানিয়েছে ফেইসবুক। ফেইসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার অ্যাপগুলোর কনটেন্টকে নীতিমালায় বাঁধতে এ ধরনের প্রতিবেদন ২০১৮ সালে প্রথম নিয়ে আসে ফেইসবুক। এর পর থেকে প্রতি ছয় মাস অন্তর প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিবেদন প্রকাশের ঘোষণায় ফেইসবুক ‘প্রোঅ্যাকটিভ শনাক্তকরণ প্রযুক্তি’ – এর কথা  উল্লেথ করেছে। নিয়ম ভেঙেছে এমন কনটেন্ট খুঁজে বের করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে প্রযুক্তিটি।

“আমরা এখন ছবি ও ভিডিওতে এমবেড করা লেখা শনাক্ত করতে ও তার পুরো বিষয়বস্তু বুঝতে পারি, এবং একই ধরনের কনটেন্ট খুঁজে বের করার কাজে মিডিয়া ম্যাচিং প্রযুক্তি তৈরি করেছি যা আগে মুছে দেওয়া ছবি, ভিডিও, লেখা এবং এমনকি অডিও খুঁজে বের করতে পারবে,” বিবৃতিতে বলেছে ফেইসবুক।

এখন আগের চেয়ে আরও বেশি সংখ্যায় মাদক ও যৌনতা সংক্রান্ত কনটেন্ট মুছে দিতে পারছে ফেইসবুকের ওই ‘প্রোঅ্যাকটিভ’ প্রযুক্তি। মহামারীর এই সময়টিতে আগের তুলনায় অনেক কম মডারেটরকে কাজে লাগাতে পারছে ফেইসবুককে। ফলে কনটেন্টের উপর নজর রাখতে বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিকে নানাবিধ স্বয়ংক্রিয় টুলের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

সাম্প্রতিক কলে জাকারবার্গ জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস সমন্বয়ের কারণে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভারী প্রভাব পড়বে ডেটার উপর।