মহামারী ও আর্থিক মন্দায়ও লাভের খাতায় ভিডিও গেইমস

মহামারীর এ সময়টিতে যখন অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, ঠিক সে সময়টিতেই ফুলে ফেঁপে উঠছে ভিডিও গেইম ও এ সংশ্লিষ্ট ব্যবসা। গেইম নির্মাতা অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ডের প্রধান নির্বাহী জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক এই অনিশ্চয়তার সময়টিতে মানুষ বিনামূল্যের মোবাইলভিত্তিক ভিডিও গেইমের দিকে চলে আসতে পারে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2020, 03:06 PM
Updated : 6 May 2020, 03:06 PM

গত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিক্রি বেশি হয়েছে ভিডিও গেইম নির্মাতা অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ডের। কল অফ ডিউটি ফ্র্যাঞ্চাইজের মাধ্যমেই বিক্রি বেশি হয়েছে গেইম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির। সবমিলিয়ে প্রথম প্রান্তিকে ১৫২ কোটি ডলারের ব্যবসা করেছে প্রতিষ্ঠানটি যা গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের ব্যবসা ১২৬ কোটি ডলারের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। -- খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর।

‘ওয়ারজোন’ নামে কল অফ ডিউটির নতুন গেইম মোড নিয়ে এসেছে অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ড। আগ্রহীদেরকে মোবাইলে ওয়ারজোন খেলারও সুযোগ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। “আমার মনে হয় আমরা যে অবস্থায় আছি, তাতে বেকারত্বের হার এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মাত্রা অনেক উপরে, এ সময়ে বিনামূল্যের মোবাইল গেইমের মাধ্যমে হয়তো অংশগ্রহণকারী বাড়ানোর একটি সুযোগ সৃষ্টি হবে”। - বলেছেন অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ডের প্রধান নির্বাহী ববি কটিক।

বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়েও ভালো এসেছে আয়। অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ড শেয়ার প্রতি ০.৬৫ ডলার আয় করেছে। গোল্ডম্যাক স্যাকসের বিশ্লেষকদের হিসাব ছিল আয় হবে ০.৩৭ ডলার। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাজারে আসা “কল অফ ডিউটি: মডার্ন ওয়ারফেয়ার” এ পর্যন্ত বাজারে আসা সব কল অফ ডিউটি টাইটেল থেকে বেশি বিক্রি হয়েছে।

মানুষ বাসায় থাকাতেও অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ডের বিক্রি বেড়েছে। বেসরকারী আর্থিক সেবা সংস্থা ওয়েডবুশের বিশ্লেষক মাইকেল প্যাকটার বলেছেন, “জুন প্রান্তিকের সবচেয়ে বড় সুফল এটি, ঘরবন্দী মেয়ার পাঁচ সপ্তাহে গড়ালো এখন পর্যন্ত, এবং আরও কয়েক সপ্তাহ বাড়তে পারে এটি”।       

মহামারীর কারণে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বিক্রিতে প্রভাব পড়েছে এবং আয়োজনে বাতিলে শিল্প হারিয়েছে মুনাফা। কিন্তু কোটিক জানিয়েছেন, ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের আয় কমে আসা বা কল অফ ডিউটি লিগ এবং ওভারওয়াচ লিগের বাস্তব দুনিয়ার প্রতিযোগিতা বাতিল হয়ে যাওয়ার কোনো আর্থিক প্রভাব ব্যবসায় পড়বে না। শুধু ইস্পোর্টস টিম মালিকরা “কিছু স্থানীয় মুনাফা আয় করছিলেন”, সেটিতে প্রভাব পড়তে পারে।

মঙ্গলবার নিজেদের আয় সম্পর্কে জানিয়েছে আরেক গেইম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রনিক আর্টস। আগের চেয়ে “ম্যাডেন এনএফএল ২০” এবং “দ্য সিমস ৪” – এ অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বেড়েছে। সবমিলিয়ে প্রতিষ্ঠানর মোট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৪০ কোটি ডলারে, গত বছরের তুলনায় প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা ১২ শতাংশ বেশি হয়েছে।

গোল্ডম্যান স্যাকসের অনুমান ছিল মোট ১২২ কোটি ডলারের বিক্রি করবে ইএ। বেঠিক অনুমান নয় সেটি, ১২১ কোটি ডলারের বিক্রি করেছে ইএ।