সোমবার এ বিষয়ে জানিয়েছে ইনটেল। মুভিট স্বাধীনভাবেই নিজ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে, ইনটেল শুধু মুভিটের প্রযুক্তি এবং একশ দুই’টি দেশের ৮০ কোটি ব্যবহারকারী থেকে মুভিট যে ডেটা সংগ্রহ করে তা নিজেদের স্বচালিত গাড়ি ইউনিট ‘মোবাইলআই’-এ ব্যবহার করবে। -- খবর সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের।
এর আগে ২০১৮ সালে বিনিয়োগ সংগ্রহের সময় মুভিটের বাজারমূল্য মূল্যায়ন করা হয়েছিল। তখন প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছিল ৫০ কোটি ডলার। সে হিসেবে প্রায় দ্বিগণ দামে মুভিট-কে কিনে নিলো ইনটেল। আগেই অবশ্য তারল্য বিনিয়োগের মাধ্যমে মুভিটের সাত শতাংশের মালিকানা ইনটেলের হাতে ছিল। এবার ৮৪ কোটি ডলার নগদ দেওয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির পুরো মালিকানা বুঝে নিলো চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
নভেল করোনাভাইরাস মহামারী বৈশ্বিকভাবে ছড়ানোর আগেই ইনটেল ও মুভিটের মধ্যকার আলোচনা শুরু হয়েছিল। ওই সময়টিতে নিজেদের মূলধন বাড়াতে চাইছিলো প্রতিষ্ঠানটি। মুভিটের কাছে এক বছর চলার মতো খরচও ছিলো। কিন্তু মহামারী শুরু হয়ে যাওয়ার পর মত পরিবর্তন করে মুভিট, ইনটেলের কাছে বিক্রি হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
ইনটেল মালিকানাধীন মোবাইলআই প্রধান নির্বাহী আমনন শাশুয়া বলেছেন, “আমাদের সামনে এগোনোর পথে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাঁধা ছিলো যা মুভিট কেনার মাধ্যমে দূর হলো”। শাশুয়া আরও জানিয়েছেন, মোবাইলআইয়ের প্রাথমিক লক্ষ্য ইসরায়েল, ফ্রান্স এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোতে চালকবিহীন ট্যাক্সির ছোট একটি বহর নামানো।
পথচারী ও ভ্রমণকারীদেরকে বাস, ট্রেন, বাইকের রাস্তা এবং গাড়ি পার্কিং সুবিধা দেখানোর মাধ্যমে গন্তব্য পৌঁছানোর সবচেয়ে ভালো রাস্তাটি বেছে দেওয়ার সেবা দেয় মুভিট। মোবাইলআইয়ের সঙ্গে প্রযুক্তিটি জুড়ে নেওয়া হলে মুভিট অ্যাপের মাধ্যমে রোবোট্যাক্সি ডাকা যাবে এবং উচ্চ-চাহিদা সম্পন্ন এলাকাগুলোতে প্রয়োজন অনুসারে গাড়ি নামানো যাবে। - জানিয়েছেন শাশুয়া।
ইনটেলের অনুমান, ২০৩০ সাল নাগাদ ১৬ হাজার কোটি ডলারের বাজারে পরিণত হবে রোবোট্যাক্সি।
করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে যখন অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠান আর্থিক মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, অর্থনীতি হুমকির মধ্যে রয়েছে, সে সময়টিতে প্রায় শত কোটি ডলারে নতুন প্রতিষ্ঠান কিনলো ইনটেল। এ বিষয়ে মোবাইলআই প্রধান নির্বাহ শাশুয়া বলেছেন, “ইনটেলের মতো প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতে কোনটা কীভাবে হবে সে বিষয়গুলো যার হাতে প্রতিটি ধাপে ধাপে সাজানো, তার জন্য করোনাভাইরাস পিছিয়ে পড়ার মতো কোনো বিষয় নয়। উল্টো, এই সংকটকে দেখা উচিত এবং তারপর এর থেকে সুযোগ খুঁজে বের করা উচিত”।