আঙ্গুলের ছাপে হকিং দিয়ে গেলেন ১৬.৩ মিলিয়ন পাউন্ড

বিশ্বখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং নিজ উইলে তিন সন্তান ও তিন নাতি-নাতনীর জন্য রেখে গেছেন এক কোটি ৬৩ লাখ লাখ পাউন্ড। শারীরিক অক্ষমতার কারণে ওই উইলে তিনি স্বাক্ষর করেছেন বুড়ো আঙ্গুলের ছাপে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2020, 08:28 AM
Updated : 25 April 2020, 08:29 AM

নিজের সব একাডেমিক পুরস্কার এবং মেডাল সন্তান রবার্ট, টিমোথি এবং লুসি’র মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া রয়েছে ওই উইলে। ওই পুরস্কার এবং মেডালের মধ্যে রয়েছে ১৩টি সম্মানসূচক ডিগ্রি, একটি সিবিই, মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল মেডাল অফ ফ্রিডম এবং কমপ্যানিয়ন অফ অনার পদক। এগুলো ছাড়াও সন্তান রবার্টের জন্য ঘড়ি, টিমোথিকে ঘূর্ণায়মান বুক কেস এবং লুসি’র জন্য এক ‘অ্যান্টিক ডেস্ক’ রেখে গেছেন হকিং।  -- খবর দ্য সানের।

উইলের সঙ্গে থাকা এক আইনি নোটে বলা হয়েছে, “এটি তার ‘ছাপ’-এর মাধ্যমে স্বাক্ষর করা হয়েছে কারণ, উইলটি পড়তে পারলেও শারীরিক সীমাবদ্ধতার কারণে উইলটি স্বাক্ষর করতে পারেননি তিনি”। একটি ট্রাস্ট ফান্ডের অধীনে উত্তরাধিকারদের জন্য ওই সম্পদ রেখে গেছেন বিজ্ঞানী।

২০১৮ সালে ৭৬ বছর বয়সে স্টিফেন হকিং মারা যান, যাকে অনেকেই মনে করেন ‘আধুনিক সৃষ্টিতত্ত্বের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র’ হিসেবে। স্টিফেন হকিংই সর্বপ্রথম আপেক্ষিক তত্ত্বের সাধারণ সূত্র এবং কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সমন্ময়ে মহাবিশ্বের সৃষ্টি ব্যাক্ষা করেন।

ব্যক্তিগত সহকারী ৭১ বছর বয়সী জুডিথ ক্রোসডেলের জন্যও ১০ হাজার পাউন্ড রেখে গেছেন হকিং।

সানের প্রতিবেদনটি বলছে, ২০০৭ সালেই ১৩ পৃষ্ঠার ওই উইলে বুড়ো আঙ্গুলের মাধ্যমে স্বাক্ষর করেন হকিং। ১৯৬৩ সালে দূরারোগ্য মোটর নিউরন ডিজিসে আক্রান্ত হওয়ার পর হকিংকে জানানো হয়েছিল তিনি মাত্র তিন বছর বাঁচবেন। তিনি বেঁচে ছিলেন আরও ৫৫ বছর। এর মধ্যে তিনি লেখন এ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম, যেখানে মহাবিশ্বের সৃষ্টিতত্ত্ব তিনি সাধারণ পাঠকদের জন্য সহজ ভাষায় বুঝিয়ে বলেন।

ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজে তিনি ১৯৭৯ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন লুকাসিয়ান প্রফেসর অফ ম্যাথমেটিক্স, যে পদে একসময় ছিলেন আরেক ক্ষণজন্মা পদার্থবিজ্ঞানী নিউটন।