ওয়াশিংটনের ‘নজরদারি অনুরোধ’ জানাতে পারবে না টুইটার

মার্কিন সরকার কোনো নজরদারির অনুরোধ নিয়ে এলে, ওই 'অনুরোধ' সম্পর্কে আর জানাতে পারবে না টুইটার। এ প্রশ্নে চলমান এক মামলায় সরকারের পক্ষেই রায় দিয়েছে আদালত।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2020, 02:53 PM
Updated : 18 April 2020, 02:53 PM

সরকারের দিক থেকে নজরদারীর কোনো অনুরোধ এলে তা নিজেদের ‘ড্রাফট ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টের’ অধীনে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছিল টুইটার। নিজ দাবির স্বপক্ষে টুইটারের যুক্তি ছিল, এটি প্রকাশের অনুমতি না দিলে তা মুক্ত মত প্রকাশের অধিকার লঙ্ঘন করে, যেটি মার্কিন সংবিধানের এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ বলে বিবেচনা করা হয়।

ছয় বছর ধরে মার্কিন সরকার ও টুইটারের মধ্যে ওই মামলাটি চলেছে। ২০১৪ সালে মার্কিন বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিল টুইটার। মামলায় সরকার পক্ষের যুক্তি ছিল, সরকারের নজরদারি অনুরোধ প্রকাশ করে দিলে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে। ওই দাবি মেনেই সরকারের পক্ষে রায় দিয়েছে আদালত। -- খবর রয়টার্সের।

শুক্রবার টুইটারের দায়ের করা মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট’ বিচারক ইওভন গনজালেস। এ বিষয়ে ‘ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর নদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া’-তে ১১ পৃষ্ঠার নির্দেশনাও নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।

রায়ে বিচারক বলেছেন, টুইটারের আবেদনে সাড়া দিলে তা “রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর হবে বা বড় মাপের ক্ষতির দিকে নিয়ে যাবে”।

মামলার পটভুমি অবশ্য ভিন্ন কথাই বলে। এই মামলা এবং এ ধরনের মামলাগুলোর মাধ্যমে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির মূলত চেষ্টা ছিল মার্কিন সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক বিষয়ে জনসাধারণের কাছে পরিষ্কার থাকা। বিশেষ করে, এনএসএ-র সাবেক ঠিকাদার এডওয়ার্ড স্নোডেনের হাত দিয়ে যে তথ্যগুলো প্রকাশিত হয়েছে তাতে অনৈতিক নজরদারীর বেলায় মার্কিন সরকারের এজেন্সিগুলো প্রযুক্তি-ক্ষমতার কতোদূর অপব্যবহার করতে পারে তার প্রমাণ মেলে।

এই মামলা দায়েরের পর বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের সঙ্গে মাসের পর মাস আলোচনা হয়েছে, কিন্তু তাতে আখেরে কোনো লাভ হয়নি। উল্টো ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য চেয়ে সরকারের অনুরোধ এবং ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোর দিক থেকে সে অনুরোধ ফিরিয়ে দেওয়ার সংখ্যাই কেবল বেড়েছে।

এরিক হোল্ডার, লরেটা লিঞ্চ, জেফ সেশনস এবং উইলিয়াম বার -এই চার মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেলের মেয়াদ জুড়ে চলেছে টুইটারের ওই আইনি লড়াই।  

মামলার রায় নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি টুইটার।