মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যামাজনের ৫০টির বেশি স্থাপনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। কোনো কোনো স্থানে একাধিক অ্যামাজন কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলেও খবর মিলেছে।
এ বাস্তবতায় প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা “ক্রমবর্ধমান সক্ষমতার পরীক্ষা ল্যাব” বানাতে একটি দল গঠন করেছে-- খবর বিবিসি’র।
করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে আগে কর্মীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে অ্যামাজন।
কর্মী নিরাপত্তার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অভাব রয়েছে এমন দাবিতে এর আগে বিক্ষোভও করেছেন অ্যামাজনের নিউ ইয়র্ক গুদামের এক কর্মী। মার্চ মাসে ওই কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এক ব্লগ পোস্টে অ্যামাজন দাবি করেছে, করোনাভাইরাস মোকাবেলার প্রক্রিয়ায় দেড় শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে।” প্রতিষ্ঠানটির দাবি, “পরিচালন কেন্দ্র ও মুদী দোকানগুলোতে কর্মীদেরকে মাস্ক দেওয়া হচ্ছে এবং কর্মীদের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে।”
“পরবর্তী ধাপে হয়তো সব কর্মীকে নিয়মিত পরীক্ষা করা হবে, যাদের লক্ষণ নেই তাদেরকেও । বিশ্বজুড়ে সব শিল্প খাতে নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে মানুষকে নিরাপদ রাখার পাশাপাশি অর্থনীতি সচল রাখা যাবে।”
প্রতিষ্ঠানটি স্বীকার করেছে যে পরীক্ষার ব্যবস্থা সীমিত। তাই নিজস্ব ল্যাব বানাতে কর্মীদের একটি দল গঠন করা হয়েছে।
“প্রথম ল্যাব বানাতে যে উপকরণ লাগবে আমরা সেগুলো জোগাড় করতে শুরু করেছি এবং শীঘ্রই আমাদের সামনের দিকের কিছু কর্মীর পরীক্ষা শুরু করতে পারবো বলে আশাবাদী। প্রাসঙ্গিক সময়ে আমরা কতো দূর এগোতে পারবো তা আমরা নিশ্চিত নই, তবে আমরা মনে করি চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াটা যথেষ্ট এবং যা শিখবো তা অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে আমরা প্রস্তুত থাকবো।”
সম্প্রতি ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কর্মীদের নিরাপত্তায় যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় আম্যাজনের অন্তত একটি স্থাপনায় তদন্ত চালিয়েছে মার্কিন অকুপেশনাল সেইফটি অ্যান্ড হেলথ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।