করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর সেলফ-আইসোলেশনে থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যাবিনেট মিটিং ডেকেছিলেন এ সপ্তাহেই। করোনাভাইরাসের কারণে ভিডিও কনফারেন্স কলের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় ভার্চুয়াল সে সভা। ওই মিটিংয়েরই একটি স্ক্রিনশট তুলে তিনি সম্ভবত ভেবেছিলেন সেটি জনসাধারণের সঙ্গে শেয়ার করা যেতেই পারে। আর তাই হয়তো মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে তুলেও দিয়েছিলেন ওই স্ক্রিনশট।
আর ওই স্ক্রিনশট ঘিরেই তৈরি হয়েছে নিরাপত্তা উদ্বেগ। খবর সিএনএন-এর।
আলোচিত ওই স্ক্রিনশটের বরাতে ফাঁস হয়ে গেছে মিটিং আইডিসহ বেশ কিছু ক্যাবিনেট সদস্যের ইউজার নেইম। পর্দার বাম পাশের কোনাতেই ছিল মিটিং আইডি। প্রশ্ন উঠেছে, এর ফলে কি নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়লো প্রধানমন্ত্রীসহ বাকী সদস্যদের?
অবশ্য, সিএনএন-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, উচ্চ সংবেদনশীল সরকারি কাজ সবসময় সুরক্ষিত সিস্টেমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। “বর্তমানের নজিরবিহীন বাস্তবতায় কার্যকরী যোগাযোগ চ্যানেল খুঁজে পাওয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের নির্দেশনা মোতাবেক এ ধরনের মিটিংয়ের জন্য নিরাপত্তার প্রশ্নে জুম ব্যবহারে কোনো মানা নেই”। - বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র।
অন্যদিকে, নিরাপত্তা উদ্বেগের ব্যাপারে নিজ অবস্থান পরিষ্কার করেছে জুম-ও। “জুম নিজ ব্যবহারকারীদের গোপনতা, নিরাপত্তা এবং বিশ্বাসকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে থাকে” - বলেছেন অ্যাপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস প্রেক্ষাপটে জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার পর এবার বড় মাপের তদন্তের মুখোমুখি হয়েছে ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ জুম। এতো ব্যবহারকারীর চাপ সামাল দেওয়ার মতো সক্ষমতা অ্যাপটির আছে কিনা তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। বর্তমানে বাসা থেকে কাজ করার জন্য ও ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য বিশ্বের বহু দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে জুম। মূলত সংশয় তৈরি হয়েছে অ্যাপটির ডেটা নিরাপত্তা ও সুরক্ষা মাপকাঠিকে ঘিরে।