অ্যাপলের দাবি, তাদের ‘এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার প্রোগ্রাম’ নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে ক্লিয়ারভিউ এআই। অ্যাপ স্টোরের বাইরে ব্যবহারকারীদেরকে নিজেদের সফটওয়্যার ইনস্টল করতে দিতে ‘এন্টারপ্রাইজ সার্টিফিকেটের’ উপর নির্ভর করতো ক্লিয়ারভিউ এআই। বিষয়টি অ্যাপলের নীতিমালা বিরোধী। -- খবর প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের।
অ্যাপলের নিয়ম অনুসারে, শুধু প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে ‘সার্টিফিকেট’ প্রবেশাধিকার। এর আগেও এ ধরনের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিয়েছিল অ্যাপল। সেবার বিপাকে পড়েছিল ফেইসবুক ও গুগল। তবে, প্রতিষ্ঠান দুটির মূল অ্যাপ ওই সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। সে সময় শুধু আভ্যন্তরীন দুটি অ্যাপ সরিয়ে দিয়েছিল অ্যাপল। কিন্তু ক্লিয়ারভিউ এআইয়ের বেলায় ব্যাপারটি ভিন্ন।
ক্লিয়ারভিউ এআইয়ের মূল অ্যাপটিকেই সরিয়ে দিয়েছে অ্যাপল। ক্লিয়ারভিউ এআই প্রধান হোয়ান-টন-দ্যাট বলেছেন, “আমরা অ্যাপলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তাদের শর্তাবলী মেনে কাজ করার চেষ্টা করছি।”
উল্লেখ্য, মূলত মানুষের ছবির সঙ্গে সন্দেহভাজনদের ছবি তুলনা করে শনাক্ত করার কাজটি করে থাকে ক্লিয়ারভিউ এআইয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। নেটিজেনদের ছবি নানাবিধ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে তা ক্ষেত্রবিশেষে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে বিক্রিও করে থাকে ক্লিয়ারভিউ এআই।
সবমিলিয়ে তিনশ’ কোটি ছবির একটি ডেটাবেজ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। ইন্টারনেটে ইউটিউব, ফেইসবুক, ভেনমো এবং লিংকডইনের মতো নানাবিধি সাইট থেকে সংগ্রহ করে গড়ে তোলা হয়েছে ওই ছবির ভাণ্ডার।