মার্কিন ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট সেইফটি বোর্ডের (এনটিএসবি) পক্ষ থেকে বলা হয়, দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি টেসলার অটোপাইলট সফটওয়্যারের সাহায্যে আধা-স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলছিলো-- খবর বিবিসি’র।
অটোপাইলট মোডে চালকের হাত স্টিয়ারিং হুইলে রাখার নির্দেশনা দিয়ে থাকে টেসলা। তবে, এনটিএসবি জানিয়েছে অটোপাইলট ব্যবস্থায় টেসলা পরিবর্তন না আনলে আরও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
দুর্ঘটনার পর দুই বছরের তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে এনটিএসবি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, টেসলার অটোপাইলট সফটওয়্যার গাড়িটিকে একটি ত্রিকোণাকার রাস্তার ক্রসিংয়ে নিয়ে গেছে এবং গতি বাড়িয়ে কংক্রিটের দেয়ালে ধাক্কা দিয়েছে।
গাড়ির সামনের অংশটি বিচ্ছন্ন হয়ে পড়ায় অন্য আরও দু’টি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
৩৮ বছর বয়সী টেসলা চালক ওয়ালটার হুয়াংকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও পরবর্তীতে তিনি মারা গেছেন। বেঁচে গেছেন অন্যান্য চালকরা।
এনটিএসবি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে--
টেসলা গাড়ির বেশ কিছু দুর্ঘটনায় অটোপাইলট সক্রিয় ছিল বলেও বিবিসি’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
অটোপাইলট মূলত চালকের জন্য সহায়ক একটি আধাস্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। লেইন পরিবর্তন এবং গতির সামঞ্জস্য রাখতে সহায়তা করে ব্যবস্থাটি।
অন্যদিকে সমালোচকদের দাবি, ‘অটোপাইলট’ ব্র্যান্ডিংয়ের কারণে অনেক চালকই মনে করেন গাড়ি পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলছে।
এনটিএসবি বলছে চালক সফটওয়্যারের ওপর ‘অতিরিক্ত নির্ভরশীল’ হয়ে পড়েছে।
কিছু পরামর্শ দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন শেষ করেছে এনটিএসবি। পরামর্শগুলো হলো--
স্মার্টফোন নির্মাতাদেরকে এমন ব্যবস্থা বানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে চালক অমনযোগী হয়ে পড়লে তা শনাক্ত করা যায়। গাড়ি চলাকালীন চালক অমনযোগী হতে পারেন স্মার্টফোনের এমন ফিচারগুলো যাতে লক করে দেওয়া হয়।
অ্যাপলের উদ্দ্যেশ্যে এনটিএসবি জানিয়েছে, “এমন নীতিমালা আনা প্রয়োজন, যাতে গাড়ি চালানোর সময় জরুরী নয় এমন পোর্টেবল ডিভাইসগুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন প্রতিষ্ঠানের সব কর্মী এবং ঠিকাদাররা।”
বিষয়টি নিয়ে জানতে বিবিসি’র পক্ষ থেকে টেসলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য করেনি প্রতিষ্ঠানটি।