গবেষণায় অংশ নেওয়া ৬০ শতাংশই প্রযুক্তি প্রশ্নে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এই ৬০ শতাংশের মতে প্রযুক্তি 'অনেক দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে' এবং এটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য 'সরকারের যে বোঝাপড়া থাকা দরকার তা নেই'। অন্যদিকে, অংশগ্রহণকারীদের ৬৬ শতাংশ প্রযুক্তি প্রশ্নে প্রকাশ করেছেন দুঃশ্চিন্তা। তাদের মতে, মানুষ যা শুনছে ও দেখছে তা সত্যি কিনা সেটি চাইলেও বোঝা সম্ভব হবে না, বিষয়টিকে অসম্ভব করে দেবে প্রযুক্তি।
সবমিলিয়ে বিশ্বব্যাপী ২৮টি বাজারে ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন গবেষণা জরিপটিতে।
গড়পরতা বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির উপর আস্থা কমেছে চার শতাংশ। তবে, এই হার যুক্তরাষ্ট্রে সাত শতাংশ, আর ছয় শতাংশ অস্ট্রেলিয়ায়। জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান এডেলম্যানের এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তথ্যগুলো। মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটির বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট।
নিজ প্রতিবেদনে এডেলম্যান জানিয়েছে, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য যে প্রযুক্তির সম্ভাব্য নেতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ্ব হওয়া গুরুত্বপূর্ণ সেটি মানুষের আস্থা হারানোর বিষয়টি থেকেই বুঝা যায়। প্রায় ৫৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছেন যে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো সম্ভাব্য নেতিবাচক দিক সম্পর্কে সরাসরি জানালে তাদের আস্থা বাড়বে।
এডেলম্যান প্রযুক্তি প্রধান সঞ্জয় নায়ার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, “আস্থা হারানোর বিষয়টি হয়তো খুবই ছোট, কিন্তু বিষয়টি ক্রমাগত শঙ্কা তৈরি করছে যে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের উদ্ভাবনের প্রভাব প্রশ্নে সমাজকে যথেষ্টভাবে প্রস্তুত করছে না।”
পুরো প্রতিবেদনটিই অনলাইনে এডেলম্যানের ওয়েবসাইটে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে সিনেট।