শরণার্থীর ভূমিকায় খেলতে হবে ‘সালাম’

শরণার্থীদের জীবন বাঁচাতে ভূমিকা রাখতে পারবে ভিডিও গেইম। গেইমারদের ‘ইন-অ্যাপ পারচেস’ প্রক্রিয়ায় কেনা খাবার, পানি এবং ওষুধ পাবেন বাস্তব পৃথিবীর শরণার্থীরা। অভিনব গেইমটি ডিজাইন করেছেন ২৫ বছর বয়সী গেইম ডেভেলপার লুয়াল মায়েন।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2020, 10:35 AM
Updated : 24 Feb 2020, 10:35 AM

বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা মায়েন নিজেই একটি সময়ে সপরিবারে কাটিয়েছেন শরণার্থী জীবন। নিজ জীবন ও পরিবারের অভিজ্ঞতাগুলোকেই ওই গেইমে তুলে ধরেছেন তিনি। আর তাই গেইমটিতে গেইমারদেরকে খেলতেও হবে শরণার্থীর ভূমিকায়। পার হতে হবে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি। গেইমটির মাধ্যমে গেইমাররা ধারণা পাবেন ঘর ও খাবার হারানো যন্ত্রণা সম্পর্কে, ক্রমাগত অনিরাপত্তায় থাকার কষ্ট সম্পর্কে।

“অনেক মানুষই শরণার্থী জীবনের যন্ত্রণা বোঝেন না।” – বলেছেন গেইমটির ডেভেলপার মায়েন।

রয়টার্স প্রতিবেদনের বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ সুদানের দ্বিতীয় গৃহযুদ্ধের হাত থেকে রেহাই পেতে চারশ’ কিলোমিটার পারি দিয়েছিলেন মায়েন ও তার পরিবার।

“ওই সফর ছিল জীবন-মরণের প্রশ্ন।” – স্মৃতি রোমন্থন করে জানান মায়েন।

মায়েন নিজ গেইমটির নাম রেখেছেন, ‘সালাম’। “সালাম গেইমটি এমন প্রথম গেইম হবে যা বাস্তব পৃথিবী ও ভার্চুয়াল পৃথিবীর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করবে। যদি কেউ গেইমে খাবার কেনেন, তাহলে সে কিন্তু বাস্তবেও শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দাদের জন্য খাবার কিনছেন।” – বলেন মায়েন। গেইমটি নিয়ে ২৫ বছর বয়সী এই গেইম নির্মাতার লক্ষ্য আরও অনেক বড়।                  

বর্তমানের কিশোর বয়সীদেরকে গেইমটির মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্য রয়েছে মায়েনের। যাতে করে ভবিষ্যতে এই কিশোর বয়সীরা যখন নীতি নির্ধারকের ভূমিকায় যাবেন, তখন তারা যেন শরণার্থীদের কষ্টটুকু বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

এ প্রসঙ্গে মায়েন বলেন, “এভাবেই আমরা বিশ্বকে পরিবর্তন করতে এবং শিল্পকে ভালো কাজে ব্যবহার করতে পারব।” গেইমটি খেলা শুরু করতে কোনো পয়সা খরচ করতে হবে না বলেও উল্লেখ করেছে রয়টার্স।