জেডাই চুক্তি: ট্রাম্পকে প্রশ্ন করতে চায় অ্যামাজন

গত বছরের শেষের দিকে পেন্টাগনের হাজার কোটি ডলারের জেডাই চুক্তি জিতেছে মাইক্রোসফট, বিষয়টি নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট হতে পারেনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন। এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ছয় কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করতে চাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2020, 11:57 AM
Updated : 11 Feb 2020, 11:57 AM

নিলাম প্রক্রিয়া এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে ট্রাম্পের কোনো ভূমিকা ছিল কিনা তা জানতেই প্রশ্ন করতে চাচ্ছে অ্যামাজন। চুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা চলছে ফেডারেল আদালতে। সোমবার ওই মামলার নথি খোলা হয়। নথি মোতাবেক, জেডাই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের’ প্রশ্ন করতে আগ্রহী অ্যামাজন। -- খবর প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের।

জেডাই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওই ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের’ মধ্যে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ডানা ডিজে, মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপার এবং সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস ম্যাটিস। এদেরকেই প্রশ্ন করতে আগ্রহী অ্যামাজন।

গত বছরের অক্টোবরে হাজার কোটি ডলারের জেডাই চুক্তি মাইক্রোসফটকে দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটির অধীনে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ক্লাউড কাঠামো উন্নয়ন এবং বিভিন্ন বিভাগকে একত্রে সংযুক্ত করার কাজ করবে মাইক্রোসফট। বর্তমানে পাঁচশটি ভিন্ন ভিন্ন ক্লাউডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ওই বিভাগের নথিপত্রগুলো। চুক্তির নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে খুব একটা সময় নেয়নি অ্যামাজন। পরে বিষয়টি নিয়ে মামলা ঠুকে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

বিশাল অর্থমূল্যের এই চুক্তিটি বরাবরই ছিল আলোচনায়। শুরুতেই এর বাছাই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ্বতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ওরাকল। তাদের অভিযোগ ছিল, এতে ‘বাড়তি খাতির’ পাচ্ছে অ্যামাজন। বিচার চেয়ে ফেডারেল আদালতে মামলাও ঠুকে দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। আদালতে টেকেনি সে অভিযোগ।

এরপর, অ্যামাজন যখন চুক্তির দৌড়ে এগিয়ে সে সময় অনেকটা হুট করেই চুক্তি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ্বতা বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যেই বেশ অনেকবার অ্যামাজন এবং প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস-এর সমালোচনাও করেছেন তিনি। আর অ্যামাজনের মালিকানাধীন প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট যে ডনাল্ড ট্রাম্পের চক্ষুশুল সেটি অবশ্য পুরোনো খবর। ট্রাম্প এক পর্যায়ে বলে বসেন, ‘চুক্তি বিষয়ে অ্যামাজন ও পেন্টাগনের ব্যাপারে অসংখ্য অভিযোগ এসেছে’। আর সে কারণেই, প্রয়োজনে বিষয়টিতে ‘নাক গলাবে’ তার প্রশাসন।

এখন দেখার বিষয় হচ্ছে, ডনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য ওই ‘নাক গলানো’র বিষয়টি আইনসিদ্ধ ছিল কি না।