বেসিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, তিনশ’ সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতিতে এবারের বেসিস সফটএক্সপো দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় আইসিটি এক্সপো হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এ বছর সাড়ে চার লাখেরও বেশি দর্শনার্থী অংশগ্রহণ করেছেন বেসিস সফটএক্সপো’র ১৬তম আসরে।
সমাপনী অনুষ্ঠানের শুরুতে লেজার শো, এলইডি ড্যান্স এবং স্যান্ড আর্ট প্রদর্শনী আয়োজন হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, তথ্যপ্রযুক্তির পালাবদলে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান এবং স্থানীয় তথ্য প্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরার ক্ষেত্রে বেসিস সফটএক্সপো'র সাফল্য তুলে ধরা হয় সেখানে।
অনুষ্ঠানে সরকার ও বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে উদ্বোধন করা basisegovhub.info। পোর্টালটিতে সরকারি টেন্ডারে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন, সরকারি প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের টেন্ডারের বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং টেন্ডারের অংশগ্রহণে যাবতীয় তথ্য খুঁজে পাবেন। পোর্টালটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এটুআই-এর সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করেছে বেসিস।
অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, “চারদিনে আমরা নানা আয়োজনে দেশে এবং বিদেশে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা তুলে ধরতে সফল হয়েছি।”
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে জেএএন অ্যাসোসিয়েটস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল এইচ কাফি ও লিডস কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আব্দুল আজিজকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বেসিস সফটএক্সপো ২০২০-এর নতুন সংযোজন প্রজেক্ট ইনোভেশন জোনের ৪৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫টি প্রকল্পের মধ্যে শীর্ষ পাঁচটি প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের শেষে আয়োজন করা হয় কনসার্ট এবং আতশবাজি।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।