“আমি নিশ্চিত করতে চাই এই দেশের নাগরিকরা যাতে সবচেয়ে ভালো প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ,” বলেন জনসন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “পাশাপাশি আমরা এমন কিছুই করি না যাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খারাপ হয়, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয় বা পাঁচ নিরাপত্তা অংশীদার দেশের সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।”-- খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।
মঙ্গলবারই যুক্তরাজ্যের ৫জি মোবাইল নেটওয়ার্কে সীমিত ভূমিকায় হুয়াওয়েকে অনুমোদন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জনসন।
এমন সিদ্ধান্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক খারাপ হতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে। হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশের মাধ্যমে চীনা সরকার পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাতে পারে বলে দাবি যুক্তরাষ্ট্রের। এ কারণেই ৫জি নেটওয়ার্ক থেকে হুয়াওয়েকে বাদ দিতে যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশকে চাপ দিয়ে আসছিলো ট্রাম্প প্রশাসন।
যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে সরাসরি হুয়াওয়ের নাম উল্লেখ করা না হলেও দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, জটিল নেটওয়ার্ক এবং পরমাণু ও সেনা ঘাঁটির মতো সংবেদনশীল এলাকাগুলো থেকে “উচ্চমাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে” বাদ দেওয়া হবে।
ব্রেক্সিটের পর বৈদেশিক নীতিমালা নিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় পরীক্ষা বিষয়ে জনসন বলেন, সংবেদনশীল মূল নেটওয়ার্কে “উচ্চমাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে” বাদ দেওয়া হবে এবং সংবেদনশীল নয় এমন নেটওয়ার্কে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ থাকবে ৩৫ শতাংশ ।