গোপনতা প্রশ্নে মামলার কবলে ‘ক্লিয়ারভিউ এআই’

গোপনতা প্রশ্নে মার্কিন আইন প্রয়োগকারীদের ব্যবহৃত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির নামে মামলা করা হয়েছে। মূলত সন্দেহভাজন ও অন্যান্যদের শনাক্ত করতে ‘ক্লিয়ারভিউ এআই’ ব্যবহার করে থাকে মার্কিন আইন প্রয়োগকারী বাহিনী।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2020, 03:44 PM
Updated : 26 Jan 2020, 03:44 PM

এ সপ্তাহের শুরুতেই সফওয়্যারটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে তদন্তে নামে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস। পরবর্তীতে তাদের তদন্তে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে তোপের মুখে পড়ে ‘ক্লিয়ারভিউ এআই’। -- খবর প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেটের।

মূলত মানুষের ছবির সঙ্গে সন্দেহভাজনদের ছবি তুলনা করে শনাক্ত করার কাজটি করে থাকে ওই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি। মানুষের ছবি নানাবিধ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ছবি সংগ্রহের পর তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে বিক্রি করা হয় বলেই উল্লেখ করেছে সিনেট।

“ক্লিয়ারভিউয়ের বিরুদ্ধে ব্যক্তি স্বাধীনতায় ছদ্মবেশী দখলদারীর” অভিযোগ আনা হয়েছে অভিযোগে। মামলায় আরও বলা হয়েছে, “পুরোপুরি লোভে পড়ে কর্মকাণ্ড চালায় ক্লিয়ারভিউ এআই”।

মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ‘নর্দান ডিস্ট্রিক্ট অফ ইলিনয় ইস্ট ডিভিশন’ আদালতে নথিভুক্ত করা হয়েছে মামলাটি। ‘ক্লিয়ারভিউ এআই’র কর্মকাণ্ড নাগরিক স্বাধীনতার জন্য হুমকি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

“কোনো অনুমতি বা নোটিশ ছাড়া বিবাদী ক্লিয়ারভিউ লাখো মার্কিন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করতে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে, তাদেরকে সন্দেহের কোনো কারণ ছাড়াই প্রায় তিনশ’ কোটি ছবি সংগ্রহ করেছে।” – বলা হয়েছে মামলার অভিযোগে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, “প্রতিটি ছবির মৌখিক জ্যামিতিক হিসেব স্ক্যান করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যালগরিদম ব্যবহার করেছে ক্লিয়ারভিউ এআই। কৌশলটি একাধিক গোপনতা আইন লঙ্ঘন করছে।” মামলাটির বাদী ইলিনয়ের এক বাসিন্দা। মামলাটিকে ‘ক্লাস-অ্যাকশন’ ধাঁচে নিয়ে যেতে চাইছেন তিনি।

যখন কোনো অপরাধের অসংখ্য ভুক্তভোগী থাকে আর সবার পক্ষ থেকেই মামলা করা হয় এবং রায়ও কেবল বাদী নয়, সব ভুক্তভোগীর জন্যই দেওয়া হয় তাকে বলা হয় ক্লাস অ্যাকশন মামলা। ক্লাস অ্যাকশন মামলায় বিবাদী পরাজিত হলে সাধারণত বিশাল অংকের জরিমানা গুণতে হয়।

ক্ষতিপূরণ, রেকর্ডের অবসান এবং ক্লিয়ারভিউয়ের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের ইতি টানার দাবি করা হয়েছে মামলাটিতে। বৃহস্পতিবার মার্কিন ডেমোক্রেট সিনেটর এডওয়ার্ড মার্কে জানিয়েছেন, ক্লিয়ারভিউ অ্যাপ “গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো” গোপনতা শঙ্কা সৃষ্টি করছে।

পুরো বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ক্লিয়ারভিউ এআই।