অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোসের স্মার্টফোন হ্যাকিংয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট জড়িত থাকতে পারে বলে উঠে এসেছে এক তদন্তে। হ্যাকিংয়ের ওই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বেজোস।
Published : 22 Jan 2020, 12:02 PM
এ ঘটনায় বেজোসের স্মার্টফোনের কিছু ক্ষুদে বার্তা ট্যাবলয়েড ন্যাশনাল এনকোয়েরার হাতে পেয়ে তা প্রকাশ করে। বার্তাগুলো বান্ধবী লরেন সানচেজকে পাঠিয়েছিলেন বেজোস। সে সময় ২৫ বছরের সংসার জীবনের ইতি টানার কথা বলে আসছিলেন জেফ এবং ম্যাকেঞ্জি বেজোস।
হ্যাকিংয়ে সৌদি যুবরাজের হোয়াটঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট জড়িত থাকার বিষয়টিকে টুইটারে “অবাস্তব” বলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি দূতাবাস। এমন দাবির কারণে তদন্তে আহ্বানও জানিয়েছে সৌদি দূতাবাস।
মঙ্গলবার ফিনান্সিয়াল টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, লস অ্যাঞ্জেলেসে নৈশভোজের সময় ফোন নাম্বার আদান প্রদান করেন বেজোস এবং সালমান। এরপর সালমানের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও ফাইল আসে বেজোসের ফোনে। ওই লিংকের বিষয়ে “মাঝারি থেকে উচ্চমাত্রার আত্মবিশ্বাসী” বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
তদন্ত প্রতিবেদনে নেতৃত্ব দিয়েছে এফটিআই কনসালটিং। আগের বছর মার্চ মাসে বেজোসের নিরাপত্তা প্রধান গ্যাভিন ডি বেকার বলেন প্রতিষ্ঠানের তদন্তকারীরা মনে করেন বেজোসের ফোনের সৌদি আরবের অ্যাকসেস রয়েছে। এমন দাবির প্রায় এক বছর পর দেওয়া হলো নতুন তদন্ত প্রতিবেদন।
প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংন পোস্টের মালিকানা রয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী বেজোসের। ২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের সৌদি দূতাবাসের মধ্যে সৌদি প্রতিনিধিদের হাতে খুন হন খাশুগজি, যিনি ওয়াশিংটন পোস্টে সৌদি রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে নিয়মিত কলাম লিখতেন এবং মোহাম্মদ বিন সালমানের তীব্র সমালোচক ছিলেন ।