সাম্প্রতিক এক ব্লগ পোস্টে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি জানিয়েছে, এ ধরনের ভিডিও বাস্তবতা পরিপন্থী এবং প্রযুক্তি শিল্পের জন্য ‘উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে এসেছে। -- খবর বিবিসি’র।
ধীরে ধীরে এ ধরনের কনটেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়ছে, একইসঙ্গে এ ধরনের ভিডিও তৈরির সফটওয়্যারগুলোরও সক্ষমতা বাড়ছে।
সাধারণ মানুষ ধরতে পারবেন না বা তাদেরকে ভ্রান্ত ধারণা দেবে বা ভুল পথে পরিচালিত করবে এমন ভিডিও মুছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ফেইসবুক। এ প্রসঙ্গে ফেইসবুকের বৈশ্বিক নীতি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিকা বিকার্ট বলেছেন, “মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করতে বিকৃতির উপায় বেছে নেন এমন অনেক মানুষ রয়েছেন।”
কোনো ভিডিওকে নতুন নীতির অধীনে মুছে দেওয়া হবে কিনা তা বিচারের দায়িত্ব পড়ছে ফেইসবুক কর্মী ও স্বাধীন সত্যতা যাচাইকারীর উপর। নতুন নীতির আওতায় বিদ্রুপ বা ব্যাঙ্গাত্নক ভিডিও পড়বে না।
গত সেপ্টেম্বর থেকেই নিজেদের ডিপফেক শনাক্তকরণ প্রযুক্তির সক্ষমতা বাড়াচ্ছিল ফেইসবুক। এমনকি এক কোটি ডলার তহবিলও বরাদ্দ করা হয়েছিল ডিপফেক শনাক্তকরণ প্রযুক্তির উন্নয়নে।
বিবিসি উল্লেখ করেছে, ফেইসবুক প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গও রেহাই পাননি ডিপফেক ভিডিও’র হাত থেকে। ওই ডিপফেক ভিডিওটিতে কম্পিউটার সংস্করণের এক জাকারবার্গকে সামাজিক নেটওয়ার্কের সফলতার জন্য গোপন সংগঠনকে ধন্যবাদ দিতে দেখা যায়।
গুগল এবং মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠানও ডিপফেক নির্মুলে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি।