ফোনটি বাজারে ছাড়তে দক্ষিণ কোরিয়ার তিন মোবাইল সেবাদাতার সঙ্গেও আলোচনা শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়ান ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট খ্যাত প্রতিষ্ঠানটি। রোববার বিষয়টি সম্পর্কে প্রথম জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ। অজ্ঞাতনামা শিল্প সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ফোনটি আনতে ফেব্রুয়ারিকে লক্ষ্য করে এগোচ্ছে স্যামসাং। -- খবর আইএএনএস’র।
অজ্ঞাতনামা সূত্ররা বলছে, ফেব্রুয়ারির মধ্যবর্তী সময়ে নিজেদের ‘উন্মোচন’ অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে স্যামসাং। ওই অনুষ্ঠানেই নিজেদের নতুন ফোল্ডএবল সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবে প্রতিষ্ঠানটি। উন্মোচনের পরপরই ফোনটি কেনা সম্ভব হবে বলেও উল্লেখ করেছেন তারা।
এদিকে, নতুন ফোল্ডএবল ফোন প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি স্যামসাং।
এ বছরই নিজেদের প্রথম ফোল্ডএবল স্মার্টফোন গ্যালাক্সি ফোল্ড উন্মোচন করেছে স্যামসাং। ৭.৩ ইঞ্চি পর্দাবিশিষ্ট ফোনটিকে বইয়ের মতো ভাঁজ করা সম্ভব হয়। আইএএনএস উল্লেখ করেছে, নতুন ফোল্ডএবল স্মার্টফোনে পর্দা থাকবে ৬.৭ ইঞ্চি। আর ভাঁজ করা হলে প্রায় বর্গাকারে এসে ঠেকবে ফোনটি।
সূত্ররা বলছে, হিসেবে নতুন ফোনটির দামও কম ধরবে স্যামসাং। গ্যালাক্সি ফোল্ডের দাম ধরা হয়েছিল প্রায় দুই হাজার ডলার। নতুন ফোনটির ক্ষেত্রে এক হাজার ডলার দাম নির্ধারণ করার পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ফোনটি মধ্য আয় সীমার ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে বাজারে ছাড়ছে স্যামসাং।
আগামী বছর সবমিলিয়ে ৬০ লাখ ইউনিট ফোল্ডএবল মডেলের ফোন বিক্রি করার লক্ষ্য রয়েছে স্যামসাংয়ের। নতুন ‘ক্ল্যামশেল’ ফোনটির নাম কী নির্ধারণ করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। ২০২০ সালের শেষ নাগাদ দ্বিতীয় প্রজন্মের গ্যালাক্সি ফোল্ড নিয়ে আসারও পরিকল্পনা করেছে স্যামসাং।
ধারণা করা হচ্ছে, নতুন ফোল্ডএবল স্মার্টফোনে চতুর্থ প্রজন্মের ‘লং টার্ম এভুলিউশন’ (এলটিই) নেটওয়ার্কের দেখা মিলবে। আর গ্যালাক্সি এস১১ ফোনটি পাওয়া যাবে শুধু ৫জি নেটওয়ার্কেই।