ইন্টারনেটের ‘বিকল্প’ পরীক্ষা করেছে রাশিয়া

দেশব্যাপী বৈশ্বিক ইন্টারনেটের ‘বিকল্প’ সফলভাবে পরীক্ষা করে দেখেছে রাশিয়া। সম্প্রতি বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Dec 2019, 01:26 PM
Updated : 25 Dec 2019, 01:26 PM

পরীক্ষার খুঁটিনাটি সম্পর্কে অবশ্য এখনও খোলাখুলিভাবে জানায়নি রাশিয়া। দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ‘সাধারণ ব্যবহারকারীরা কোনো পরিবর্তনই টের পাননি।’ পরীক্ষাটির ফলাফল এখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামনে উপস্থাপন করা হবে। -- খবর বিবিসি’র।

বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ইউনিভার্সিটি অফ সারের কম্পিউটার বিজ্ঞানী অ্যালান উডওয়ার্ড বলেন, “দুঃখজনকভাবে ইন্টারনেট ভাঙার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো রাশিয়া।”

“এর মানে হচ্ছে নিজ দেশের অভ্যন্তরের বিষয়াদি নিয়ে মতামত রাখতে পারবেন না মানুষ, তাদেরকে নিজ নিজ বলয়ের মধ্যেই আটকে রাখা হবে।” - বলেছেন উডওয়ার্ড।

কিন্তু ঠিক কীভাবে কাজ করবে এ ধরনের স্থানীয় নেটওয়ার্ক? বিবিসি উল্লেখ করেছে, আদতে ইন্টারনেটের যে বিষয়গুলো নিয়ে আপত্তি রয়েছে রাশিয়ার, সেগুলোর সংযোগ পয়েন্টে বাঁধা সৃষ্টি করা হবে এ প্রক্রিয়ায়। এতে করে নাগরিকরা কোন কনটেন্টে প্রবেশ করতে পারছেন তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে রাশিয়া।

বিষয়টির ব্যাখ্যায় অধ্যাপক উডওয়ার্ড বলেন, “এর জন্য ইন্টারনেট সেবাদাতা ও টেলিকম সেবাদাতাদেরকে স্থানীয় সীমানা মেনে নতুন করে ইন্টারনেট কনফিগার করতে হবে। পুরো বিষয়টি আদতে বড় মাপের আভ্যন্তরীন নেটওয়ার্ক বা ইন্ট্রানেট ছাড়া কিছুই নয়, বড় ধরনের প্রতিষ্ঠান এরকম নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে থাকে।”

পুরো কাজটি করতে অবশ্য স্থানীয় ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সহযোগিতা লাগবে। যদি পুরো দেশের নেটওয়ার্ক গুটিকয়েক রাষ্ট্র পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকে, তাহলে কাজটি করা সহজ হয়। নেটওয়ার্কে যত বেশি ইন্টারনেট সেবাদাতা থাকবে, প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করা ততোটাই কঠিন হবে।  

তবে, কারিগরি চ্যালেঞ্জের মুখে রাশিয়া ব্যর্থ হতে পারে বলেও মন্তব্য এসেছে। এ প্রসঙ্গে ‘নিউ আমেরিকা’ নামে থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তা নীতি বিভাগের জাস্টিন শারম্যান বলেছেন, “এর আগেও ইন্টারনেটে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কারিগরি চ্যালেঞ্জের মুখে হার মেনেছে রাশিয়া। এরকম বড় মাপের অসফল প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম থেকে রাশিয়ানদের দূরে রাখার চেষ্টা।”