বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, নানা রকমের বাধার মধ্যে দিয়ে রেইসিং কোর্সটি পাড়ি দিতে ‘ফার্স্ট-পার্সন-ভিউ’ চশমা পরেছিলেন কোচার। ড্রোনের মাধ্যমে কোর্সটি পাড়ি দিতে তার সময় লেগেছে ছয় সেকেন্ড।
অন্যদিকে একই কোর্স ১২ সেকেন্ডে পাড়ি দিয়েছে সবচেয়ে দ্রুতগতির স্বয়ংক্রিয় ড্রোন। কোনো জিপিএস ও মানব সহয়তা ছাড়াই এটি পার করেছে ড্রোনটি। রেইসের জন্য নির্ধারিত পুরস্কার ছিলো ১০ লাখ মার্কিন ডলার।
ড্রোন রেইসিং লিগের আয়োজকদের ধারণা, ২০২৩ সালের মধ্যে এই রেইসে প্রভাবশালী হবে এআইচালিত ড্রোন।
অ্যারোস্পেস জায়ান্ট লকহিড মার্টিন এবং ক্রাউড-সোর্সড সমস্যা সমাধানের প্ল্যাটফর্ম হিরোএক্স-এর সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছে প্রথম এআই রোবোটিক রেইসিং।
পুরস্কার জয়ী দল এমভিল্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, “মজবুত এবং দ্রুত সমাধান বের করতে আমাদের দল প্রতিটি স্তরে কঠোর পরিশ্রম করেছে।”
ইউনিভার্সিটি অফ দ্য ওয়েস্ট অফ ইংল্যান্ডের এভিওনিক্স এবং এয়ারক্রাফট ব্যবস্থার জেষ্ঠ্য গবেষক ড. স্টিভ রাইট বলেন, “দশ বছর আগে যদি আপনার এ ধরনের সমস্যা সমাধানের প্রসেসর দরকার হতো তাহলে এটি আকার হতো একটি ডিনার প্লেটের সমান এবং এটি অনেক বেশি শক্তি খরচ করতো, আর এতো গরম হতো যে আপনি এতে ডিম ভাঁজতে পারতেন।”
“এখন এটি একটি খেলার কার্ডের সমান এবং এটি এতোটা গরমও হয়না, এটি একটি ড্রোনেই বসানো যায়,” যোগ করেন রাইট।