মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় হুয়াওয়ের চ্যালেঞ্জ

হুয়াওয়ে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি, মার্কিন নীতিনির্ধারকদের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি চ্যালেঞ্জ করেছে চীনা প্রতিষ্ঠানটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Dec 2019, 12:05 PM
Updated : 5 Dec 2019, 12:05 PM

সরকারি ৮৫০ কোটি মার্কিন ডলার তহবিল ব্যবহার করে হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশ কিনতে  সম্প্রতি স্থানীয় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে মার্কিন ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন। এরপরই এমন চ্যালেঞ্জ করলো চীনা প্রতিষ্ঠানটি-- খবর বিবিসি’র।

হুয়াওয়ের দাবি, তারা নিরাপত্তার জন্য হুমকি “এমন কোনো প্রমাণ নেই।”

সিদ্ধান্ত বদলাতে মার্কিন কোর্ট অফ আপিলকে অনুরোধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

চীনের শেনজেনে হুয়াওয়ের সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মলনে প্রতিষ্ঠান প্রধান আইন কর্মকর্তা সং লিউপিং বলেন, “মার্কিন সরকার কখনোই এমন কোনো প্রমাণ দেখায়নি যে হুয়াওয়ে জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি। কারণ, এমন কোনো প্রামণ আসলে নেই।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের নীতিমালার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এ বছর এটি হুয়াওয়ের দ্বিতীয় আইনি চ্যালেঞ্জ।

চলতি বছর মে মাসেও এ ধরনের আরেকটি চ্যালেঞ্জ করে হুয়াওয়ে। মার্কিন সরকারি সংস্থাগুলোকে হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশ কেনায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

পরবর্তী প্রজন্মের ৫জি নেটওয়ার্ক কাঠামোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি তৈরি এবং বিক্রিতে মুখ্য ভূমিকা রয়েছে হুয়াওয়ের। এরই মধ্যে অন্যান্য দেশকেও ৫জি নেটওয়ার্ক অবকাঠামো তৈরির প্রকল্প থেকে হুয়াওয়েকে বাদ দিতে চাপ দিচ্ছে ওয়াশিংটন।

বুধবার যুক্তারাজ্যে অনুষ্ঠিত নেটো সামিটে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন বলেন, ব্রিটেনের ৫জি নেটওয়ার্ক তৈরিতে হুয়াওয়ের অংশগ্রহণ থাকবে কিনা তা নির্ধারণ করা হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তথ্য শেয়ারের মাধ্যমে সহযোগিতার বিষয়টি নিশ্চিত হলে।

“হুয়াওয়ে এবং ৫জি’র ব্যাপারে, আমি চাই না বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই দেশ অকারণে বাধা হয়ে দাঁড়াক।”

“অন্যদিকে, আমরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না। আবার আমরা নিরাপত্তার জন্য অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রেও বাধা হতে চাই না। আর হুয়াওয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এটিই হবে আমাদের মূল বিবেচনা,” বলেন জনসন।