সাইবার হামলায় মিক্সক্লাউড: বেহাত ডেটা ডার্ক ওয়েবে

সাইবার হামলার শিকার হয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক অডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘মিক্সক্লাউড’, হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে দুই কোটিরও বেশি ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট ডেটা। পরে ওই ডেটাগুলোকে ডার্ক ওয়েবে বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2019, 12:22 PM
Updated : 30 Nov 2019, 12:22 PM

নভেম্বরের শুরুতে সাইবার হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করেন ডার্ক ওয়েবের এক বিক্রেতা। হামলা ও ডেটা খোয়া যাওয়ার সত্যতা প্রমাণে ওই বিক্রেতা প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকক্রাঞ্চকে ডেটার অংশবিশেষও দিয়েছেন।

বিক্রেতার দেওয়া ডেটা পরীক্ষা করে টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, ডেটাগুলোর মধ্যে ব্যবহারকারীদের ইউজারনেইম, ইমেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ডের মতো তথ্য রয়েছে। ব্যবহারকারী কোন দেশ থেকে ‘সাইন-আপ’ করেছেন, শেষবার কোন তারিখে ‘লগ-ইন’ করেছেন, আইপি কতো – এসব তথ্যও রয়েছে ওই ডেটাগুলোতে। 

ডেটাগুলোকে এলোমেলো করার জন্য ‘এসএইচএ-২’ অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়েছে। পরীক্ষার সময় ডেটাগুলোকে এতোটাই এলোমেলো অবস্থায় পাওয়া গেছে যে সেগুলোকে আর গুছানো সম্ভব নয় বলেই মন্তব্য করেছে টেকক্রাঞ্চ।

ডেটা যে আসলেও খোয়া গেছে, সেটিও প্রমাণ করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইটটি। সত্যতা প্রমাণে, হাতে আসা ডেটায় থাকা ইমেইল ঠিকানা দিয়ে ‘সাইন-আপ’ করার চেষ্টা করা হয়েছিল মিক্সক্লাউডে।

ঠিক কী পরিমাণ ডেটা খোয়া গেছে, তা এখনও পরিষ্কারভাবে জানা সম্ভব হয়নি। ডার্ক ওয়েব বিক্রেতার ভাষ্যে দুই কোটি ডেটা, আর ডার্ক ওয়েবে লিখে রাখা তথ্য অনুযায়ী, দুই কোটি ১০ লাখ ডেটা বেহাত হয়েছে। টেকক্রাঞ্চের ধারণা, প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ ডেটা বেহাত হয়েছে। 

ডার্ক ওয়েবে ওই ডেটাগুলোর মূল্য ধরা হয়েছে ০.৫ বিটকয়েন বা চার হাজার ডলার।

বিষয়টি নিয়ে এক ব্লগপোস্ট বিবৃতি প্রকাশ করেছে মিক্সক্লাউড। ওই ব্লগপোস্টে ব্যবহারকারীদেরকে পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ‘তথ্য লঙ্ঘন বিজ্ঞপ্তি’ আইন মেনে নিয়ন্ত্রকদের হ্যাকিংয়ের ঘটনা সম্পর্কে জানানো হবে কি না, সে বিষয়টিও পরিষ্কার নয়।

এ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা নিকো পেরেজ।    

উল্লেখ্য, লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় যুক্তরাজ্য ও ইউরোপিয়ান ডেটা সুরক্ষা নিয়মের অধীনে পড়েছে মিক্সক্লাউড। কোনো প্রতিষ্ঠান নিয়ম ভাঙলে, বার্ষিক আয়ের ৪ শতাংশ জরিমানা হিসেবে ধার্য করা হতে পারে।