বিক্ষোভের মধ্যেই চার কর্মীকে বরখাস্ত করলো গুগল

‘নীতিমালা লঙ্ঘনে’র অভিযোগে সোমবার চার কর্মীকে বরখাস্ত করেছে মার্কিন সার্চ জায়ান্ট গুগল। ওই চার কর্মীর মধ্যে দুই কর্মীর চাকরিতে আগেই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2019, 09:54 AM
Updated : 26 Nov 2019, 09:54 AM

প্রথমে রেবেকা রিভার্স ও লরেন্স বারল্যান্ড নামের দুই গুগল সফটওয়্যার প্রকৌশলীর চাকরিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল গুগল। সে সময় নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি। স্থগিতাদেশের বিষয়টি নিয়ে শুক্রবারে বিক্ষোভ কর্মসূচীও পালন করেন তাদের সহকর্মীরা। ওই বিক্ষোভে অংশ নেন প্রায় দুইশ’ গুগল কর্মী।

সেই বিক্ষোভ চলাকালেই আরও দুইজনসহ মোট চারজনকে চাকরিচ্যুত করলো সার্চ জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি।  তবে, বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের নাম জানাতে রাজি হননি গুগল মুখপাত্র কেটি হাচিসন।

বরখাস্তের কারণ হিসেবে গুগল বলছে, ‘অভ্যন্তরীন নথি ও ক্যালেন্ডার শেয়ারের নীতিমালা লঙ্ঘন’ করেছেন ওই চার কর্মী। চার সহকর্মীকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তটি ভালোভাবে নিতে পারেননি গুগল কর্মীরা। অনেক কর্মী জানিয়েছেন, ‘নিজেদের স্বেচ্ছাচার বজায় রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন এ টেক জায়ান্ট।’ -- খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।

“ওই চার কর্মীর একজনকেও নথি বা ক্যালেন্ডারে সাধারণভাবে চোখ বুলানোর জন্য বরখাস্ত করা হয়নি। উল্টো আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে, তারা অন্য কর্মীদের কাজ ও অন্যান্য বিষয়ে নজরদারি চালানোর কাজে লিপ্ত ছিলেন। এভাবে ব্যবসা সংশ্লিষ্ট তথ্য খোঁজা, সেগুলোতে অনুপ্রবেশ এবং তা বাইরে বিতরণের কাজ করেছেন তারা, যা তাদের কাজের মধ্যে পড়ে না।” - সকল কর্মীকে উদ্দেশ্যে করে সোমবার এক মেমোতে জানিয়েছে গুগল।

গুগল আরও জানিয়েছে, এভাবে ক্যালেন্ডারে নজরদারি চালানোর বিষয়টি জানার পর অনেক গুগল কর্মী “ভীত ও অনিরাপদ” বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন এবং কার্যালয়ের বাইরের “অন্য কোনো স্থান থেকে কাজ করার” অনুমতি চেয়েছেন।

এদিকে, গুগলের অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছেন প্রথমে স্থগিতাদেশ পাওয়া ও পরে বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মী রিভার্স এবং বারল্যান্ড। শুক্রবারের বিক্ষোভেও বিষয়টি অস্বীকার করেন তারা।

সাম্প্রতিক এক টুইট বার্তায় রিভার্স জানান, তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে বরখাস্ত হওয়া গুগল কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব করা সংগঠনটি এক বিবৃতিতে দাবি করেছে রিভার্সকে আদতে জোর করে বের করে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে গুগলের অনেক নথি ও স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করা, চীনের মূল ভূখণ্ডের জন্য পণ্য তৈরির উদ্যোগের মতো তথ্যগুলো চেপে রাখতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে কর্মী বিষয়ে ‘আরও কঠোর’ হতে চাইছে গুগল।