গোপনতা নীতি প্রশ্নে ইইউ দেশগুলোর ‘দ্বিমত’

ফেইসবুক মালিকানাধীন মেসেজিং সেবা ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ এবং মাইক্রোসফটের ভিডিও কলিং সেবা ‘স্কাইপকে’ কঠোর গোপনতা নীতিতে বাঁধতে চেয়েছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। কিন্তু প্রস্তাবিত গোপনতা নীতি বিষয়ে একমত হতে পারেনি সংশ্লিষ্ট দেশগুলো।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2019, 05:00 AM
Updated : 26 Nov 2019, 05:04 AM

মতভিন্নতার কারণে আপাতত সেবা দুটিকে বাঁধতে পারছে না ইইউ। শুক্রবার নতুন নীতিমালা নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। -- খবর রয়টার্সের।

ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রস্তাবিত ‘ইপ্রাইভেসি নীতিমালা’ প্রণয়নের কাজ শুরু হয় আরও বছর দুয়েক আগে। নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে ইউরোপিয়ান টেলিকম সেবাদাতাদের মতো কঠোর নিয়ম মেনে চলতে হতো অনলাইন মেসেজ ও ইমেইল সেবাদাতা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও।

জানা গেছে, নীতিমালায় উল্লেখিত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে একমত হতে পারেনি ইইউ ভুক্ত দেশগুলো। ওই বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে কুকির সাহায্যে অনলাইনে ব্যবহারকারীদের ট্র্যাক করা, শিশু পর্ন শনাক্ত করা ও মুছে দেওয়া ইত্যাদি। রয়টার্স উল্লেখ করেছে, মূলত নীতিমালায় এ ধারাগুলোর কারণেই একমত হতে পারেনি দেশগুলো।

প্রস্তাবিত ‘ইপ্রাইভেসি’ নীতি নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। নীতিটিকে বেশি ‘রক্ষণশীল’ বলে মন্তব্য করেছিল একাধিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও ইইউভুক্ত দেশ।

পুরো বিষয়টি প্রসঙ্গে ডিজিটাল নাগরিক অধিকার বিষয়ক সংস্থা ‘ইউরোপিয়ান ডিজিটাল রাইটস-্এর ডিয়েগো নারাঞ্জো বলেছেন, “প্রথমে ‘টেক্সট’ নিয়ে দ্বিমত, আর এবার ইপ্রাইভেসি নীতিমালার কাজকে ‘থমকে’ দেওয়া হলো। ইউরোপিয়ান কাউন্সিল এমন একটি ‘অবস্থান’ নিয়েছে যা অনলাইন ট্র্যাকিং বিজ্ঞাপনদাতা ও বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ‘আধিপত্য’ বজায়ের স্বার্থে কাজ করছে।” 

এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। রয়টার্স উল্লেখ করেছে, আগামী জানুয়ারিতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সভাপতিত্বের দায়িত্বটি ক্রোয়েশিয়ার হাতে যাওয়ার কথা রয়েছে। তখন হয়তো এ বিষয়ে অগ্রগতি হতে পারে।