ক্লাউডভিত্তিত গেইমিং সেবা আনলো গুগল

মঙ্গলবার ক্লাউডভিত্তিক গেইমিং সেবা ‘স্টেডিয়া’ চালু করেছে গুগল। নতুন এই সেবার মাধ্যমে ক্রোম ব্রাইজারে ‘অ্যাসাসিন’স ক্রিড ওডিসি’ এবং ‘এনবিএ ২কে২০’ এর মতো গেইমগুলো স্ট্রিম করে খেলতে পারবেন গ্রাহক।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2019, 05:30 PM
Updated : 20 Nov 2019, 05:30 PM

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ২২টি গেইম নিয়ে চালু করা হয়েছে এই সেবা। গ্রাহক প্রতি সেকেন্ডে ৬০টি ফ্রেইম রেটে ৪কে ভিডিও স্ট্রিম করতে পারবেন স্টেডিয়াতে। গুগলের ক্রোমকাস্ট এবং পিক্সেল ডিভাইস দিয়েও গেইমগুলো খেলতে পারবেন গ্রাহক।

স্টেডিয়ার ৪কে সংস্করণকে প্রিমিয়াম সেবা স্টেডিয়া প্রো হিসেবে চালু করা হয়েছে। এই সেবার নিবন্ধন ফি বলা হয়েছে মাসে ৯.৯৯ মার্কিন ডলার। বিনামূল্যের এইচডি সংস্করণটি সামনের বছর চালু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গুগলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মহাব্যবস্থাপক ফিল হ্যারিসন বলেন, “এখন ৪৫০টির বেশি গেইম তৈরির কাজ চলছে, এগুলো ২০২০ সাল এবং তার পরের বছরগুলোতে আনা হবে।”

সর্বনিম্ন ৭২০পি রেজুলিউশানের জন্য স্টেডিয়ার ইন্টারনেট গতি দরকার হবে ১০ এমবিপিএস। আর ৪কে গেইম স্ট্রিমিংয়ের জন্য ইন্টারনেটের গতি হতে হবে ৩৫এমবিপিএস।

টেলিযোগাযোগের যন্ত্রাংশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিয়েনা কর্পোরেশনের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা স্টিভ অ্যালেক্সান্ডার বলেন, ক্লাউড গেইমিংয়ের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করছে এর নেটওয়ার্ক এবং কম বাধার সংযোগের ওপর, যা পিক টাইমে স্টেডিয়ার গেইমগুলো সমর্থন করবে।

বিশ্লেষকরা অন্য একটি দিকও তুলে ধরেছেন। স্টেডিয়াতে এখন যে গেইমগুলো দেওয়া হয়েছে, তা ইতোমধ্যেই গেইমিং কনসোলগুলোতে রয়েছে। এতে সেবাটির সাফল্যে প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।

ওভামের জেষ্ঠ্য বিশ্লেষক জর্জ জিজাসভিলি বলেন, “স্টেডিয়ার বাঁচা মরা নির্ভর করছে এর কনটেন্টের ওপর।”

ক্লাউড গেইমিং খাতে মাইক্রোসফটের প্রজেক্ট এক্সক্লাউড এবং এনভিডিয়ার জিফোর্স নাওয়-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে স্টেডিয়া। সামনের বছর চালু হতে পারে প্রজেক্ট এক্সক্লাউড। ইতোমধ্যেই পাবলিক বেটা সংস্করণে চালু হয়েছে জিফোর্স নাও।

মাসিক ৯.৯৯ মার্কিন ডলারে প্লেস্টেশন নাও নামের একটি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে সনির। এতে গেইম রয়েছে ৮০০টির বেশি।

আপাতত যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নরওয়ে, ফ্রান্স এবং জার্মানিসহ ১৪টি দেশে চালু করা হয়েছে গুগলের স্টেডিয়া।