সোমবার সিদ্ধান্তটি জানান স্ন্যাপচ্যাট প্রধান নির্বাহী ইভান স্পিগেল। তিনি বলেন, তরুণদের রাজনীতিতে আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে এ ধরনের বিজ্ঞাপনের জন্য ‘স্থান তৈরির’ চেষ্টা করেছে স্ন্যাপচ্যাট-- খবর বিবিসি’র।
“প্রতিষ্ঠানের “একটি নিবেদিত দল প্রতিটি প্রচারণা বিজ্ঞাপন পরীক্ষা করে দেখবে।”- বলেন স্পিগেল।
আর দশটা প্ল্যাটফর্মের মতো স্ন্যাপচ্যাটেও প্রচুর রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন আসে। ২০১৯ সালের তথ্য অনুসারে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন তিনটি বিজ্ঞাপনের জন্য ১১৭৫ ডলার ডলার খরচ করেছেন এবং ওই তিনটি বিজ্ঞাপন দেখা হয়েছে ২,৮১,৮৯৪ বার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী পিট বুটেজিজের ৩৯টি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়েছে স্ন্যাপচ্যাটে। সেগুলো দেখা হয়েছে ৮০,৭৯,০২০ বার। এজন্য তার খরচ হয়েছে ৩৫,৬১৮ মার্কিন ডলার। আর ৪২টি বিজ্ঞাপনের জন্য ২৭,১৯২ ডলার খরচ করেছেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এলিজাবেথ ওয়ারেন। তার বিজ্ঞাপনগুলো দেখা হয়েছে ৬৭,৯০,৩৮৭ বার।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন’ বিষয়ে নিজ নিজ সিদ্ধান্ত জানানো শুরু করেছে প্রযুক্তি জায়ান্টরা। ইতোমধ্যেই ফেইসবুক জানিয়েছে তাদের প্ল্যাটফর্মের কোনো রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের সত্যতা যাচাই করা হবে না।
অপরদিকে নিজেদের প্ল্যাটফর্ম থেকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার। তবে, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রশ্নে এখনও ‘নিরব ভূমিকা’ পালন করছে গুগল।
আরও খবর: