নজর কাড়ছে জিমি ওয়েলেসের সামাজিক মাধ্যম

বিভিন্ন তথ্য সামনে আসছে উইকিপিডিয়া সহপ্রতিষ্ঠাতা জিমি ওয়েলেসের নতুন সামাজিক মাধ্যম সম্পর্কে আর ওই তথ্যগুলোই ধারণা দিচ্ছে এর সম্ভাব্য মডেলের।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2019, 05:10 PM
Updated : 19 Nov 2019, 05:10 PM

ফেইসবুকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত সামাজিক মাধ্যমগুলোর সীমাবদ্ধতাকেই হিসেবে নিয়েছে ডব্লিউটি: সোশাল।

‘ডব্লিউটি: সোশালের’ ব্যবহারকারী সংখ্যা বর্তমানে ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি। সামাজিক মাধ্যমটিতে যারা নতুন ‘সাইন-আপ’ করছেন, তাদেরকে প্রথমে ‘ওয়েটিং’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।

‘ওয়েটিং’ তালিকার ওই পেইজে ‘ডব্লিউটি: সোশালের’ পক্ষ থেকে দুটি উপায় দেওয়া হচ্ছে ব্যবহারকারীদের। হয় অন্যদের আমন্ত্রণ জানাতে হবে অথবা নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে ‘গ্রাহক’ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। -- খবর বিবিসি’র।

‘সংবাদ কেন্দ্রিক’ সামাজিক মাধ্যম হিসেবেই নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে নতুন এই উদ্যোগটি। আর তাই ব্যবহারকারীদের জন্য রাখা হয়েছে ‘সংবাদ শিরোনাম’ সম্পাদনার সুযোগ। প্ল্যাটফর্মটিতে পাওয়া কোনো সংবাদ শিরোনামকে ‘বিভ্রান্তিকর’ মনে হলে, তা পাল্টে ‘ঠিক’ করে দিতে পারবেন ডব্লিউটি: সোশাল ব্যবহারকারীরা।

এ বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমটির ‘ভূমিকা’ অংশে লেখা হয়েছে, আপনি যাতে নিজের পছন্দের কনটেন্টটিই দেখতে পারেন, তা আমরা নিশ্চিত করব। আপনার জন্য “বিভ্রান্তিকর শিরোনাম সরাসরি ঠিক করে দেওয়ার সুযোগ এবং ‘সমস্যামূলক’ পোস্ট চিহ্নিত করার মতো সুবিধা রাখা হয়েছে”।

নেটওয়ার্কের অন্যান্যদের শেয়ার করা কনটেন্টগুলো ‘টাইমলাইন ফরম্যাটে’ দেখতে পাবেন ব্যবহারকারীরা। আর দশটি সামাজিক মাধ্যমের মতো কোনো ‘অ্যালগরিদমের’ বেছে দেওয়া কোনো কনটেন্ট দেখানো হবে না। আগে থেকে ব্যবহারকারীদের ঠিক করে রাখা ‘আগ্রহের বিষয়বস্তুর’ ভিত্তিতে কনটেন্টগুলো ধারবাহিকভাবে পৌঁছে যাবে, নতুন কনটেন্টগুলো আগে দেখানো হবে।

ইতোমধ্যেই ‘ডব্লিউটি: সোশাল’ সহ-প্রতিষ্ঠাতা ওয়েলস জানিয়েছেন, বিজ্ঞাপননির্ভর নয়, অনুদান নির্ভর ব্যবসায়িক কাঠামোতে গড়ে তোলা হয়েছে নেটওয়ার্কটিকে। প্ল্যাটফর্মেও লেখা রয়েছে, “কখনও ব্যবহারকারীদের ডেটা বিক্রি করা হবে না।”

অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিজ্ঞাপন নির্ভর ব্যবসা মডেলগুলোকে ‘সমস্যা’ হিসেবেই দেখছেন ওয়েলস। তার ভাষ্যে, “এভাবে ‘নিম্ন মানের কনটেন্টগুলো’ বিজয়ী হচ্ছে।”

এদিকে, সামাজিক মাধ্যম বিষয়ক পরামর্শক জোয়ি কেয়ার্নস বলেছেন, “প্রচুর অর্থের প্রয়োজন পড়বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির। মানুষ বিনামূল্যে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এবং সংবাদ পেয়ে ‘অভ্যস্ত’। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হয়তো এর জন্য খরচ করবে, কিন্তু সাধারণরা তা করতে চাইবে না।”

কেয়ার্নসের মতে, অন্যান্য জায়ান্টদের ‘বিকল্প’ হয়ে উঠতে চাইলে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিকে আরও দ্রুত ‘ব্যবহারকারী সংখ্যা’ বাড়াতে হবে।