অ্যাপল কার্ডে লিঙ্গবৈষম্য: অভিযোগ ওজনিয়াকেরও

অভিযোগ গুরুতর! ক্রেডিট সীমা নিয়ে ‘লিঙ্গবৈষম্য’ করছে অ্যাপলের ক্রেডিট কার্ড। “পুরুষদের চেয়ে ক্রেডিট সীমা কম পাচ্ছেন নারীরা” – প্রথমে অভিযোগ করেছিলেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ডেভিড হাইনমেয়ার হ্যানসন।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Nov 2019, 07:22 AM
Updated : 11 Nov 2019, 07:22 AM

এবার একই অভিযোগ তুলেছেন অ্যাপল সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওজনিয়াক’ও।

এরকম ‘লিঙ্গবৈষম্য’ আদৌ হচ্ছে কি না তা জানতে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের আর্থিক সেবাবিষয়ক সংস্থা ‘ডিপার্টমেন্ট অফ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস’ (ডিএফএস)। অভিযোগে বলা হয়েছে, ক্রেডিট সীমা নির্ধারণে যে অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়েছে, সেটিতে ‘নারী বিরোধী পক্ষপাত’ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ‘অ্যাপল কার্ডের’ পরিচালক প্রতিষ্ঠান ‘গোল্ডম্যান স্যাকস-এর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে তদন্ত সংস্থা। --- খবর বিবিসি’র।

শনিবার ব্যণিজ্য ও বাজারবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে লেখা হয়, অ্যাপল কার্ড নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ডেভিড হাইনমেয়ার হ্যানসন। হ্যানসনকে তার স্ত্রী’র তুলনায় ২০ গুণ বেশি ক্রেডিট সীমা দেওয়া হয়েছে। ওই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এক টুইট বার্তায় জানান, স্ত্রীর ভালো ক্রেডিট স্কোর থাকা স্বত্ত্বেও তার বেলায় “বৈষম্য” করা হয়েছে।

পরে ভিন্ন এক টুইটে অ্যাপল সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওজনিয়াক জানান, বৈষম্যের শিকার হয়েছেন তার স্ত্রী’ও। যৌথ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং সমপরিমাণ সম্পদ থাকা স্বত্ত্বেও ওজনিয়াক ক্রেডিট সীমা পেয়েছেন বেশি, স্ত্রী পেয়েছেন কম। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত সংস্থা ডিএফএস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কোনো অ্যালগরিদম “ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে” বৈষম্য করে থাকলে, তা নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের আইন ভেঙেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে এবং ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করা হবে।

এদিকে প্রথম অভিযোগকারী হ্যানসন জানিয়েছেন, অভিযোগের পরপরই তার স্ত্রী’র ক্রেডিট সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাকস। অভিযোগ প্রসঙ্গে গোল্ডম্যান স্যাকস বলছে, “আমাদের ক্রেডিট সিদ্ধান্ত গ্রাহকের ক্রেডিট যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়। লিঙ্গ, জাতি, বয়সের মতো বিষয়গুলোর ভিত্তিতে নেওয়া হয় না, কারণ সেটি বেআইনী।”

অ্যালগরিদমের মাধ্যমে ‘বৈষম্য’ করা হয়েছে এমন অভিযোগের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। মার্কিন স্বাস্থ্যসেবা জায়ান্ট ‘ইউনাইটেড হেলথ গ্রুপ’-এর বিরুদ্ধে বর্তমানে একই প্রশ্নে তদন্ত চলছে। প্রতিষ্ঠানটির অ্যালগরিদম ‘বর্ণবৈষম্য’ করছে বলে অভিযোগ উঠেছিল।

এ বছরের অগাস্টে বাজারে আসে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপলের ‘অ্যাপল কার্ড’। নিজেদের সাইটে কার্ডটির ব্যাপারে অ্যাপল লিখে রেখেছে, “নতুন ধরনের ক্রেডিট কার্ড যা কোনো ব্যাংক আনেনি, অ্যাপল এনেছে”।