শেষ হলো টেসলা-ওয়ালমার্টের ‘আগুন নিয়ে খেলা’

নিজেদের ২৪০টিরও বেশি ব্যবসা কেন্দ্রে টেসলা’র সোলার প্যানেল ইনস্টল করিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা পণ্য বিক্রেতা চেইন ওয়ালমার্ট। পরে প্যানেলের অন্তত সাতটিতে আগুন ধরে যায়। এতে বেজায় চটে গিয়ে টেসলার নামে মামলা ঠুকে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। ওয়ালমার্টের অভিযোগ, সোলার প্যানেল বসানোর সময় গুরুত্ব দেয়নি টেসলা, আগুন ধরেছে সে কারণেই। ওই মামলাটি নিয়ে সম্প্রতি সমঝোতায় এসেছে প্রতিষ্ঠান দুটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Nov 2019, 05:57 PM
Updated : 6 Nov 2019, 05:57 PM

যৌথ বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠান দুটি মঙ্গলবার জানিয়েছে, সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে পারায় তারা ‘সন্তুষ্ট’। নিজেদের টেকসই শক্তি ব্যবস্থাকে আরও নিরাপদভাবে ক্ষমতাবান করতেও কাজ করবে তারা। --- খবর রয়টার্সের।

টেসলার বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ আনে ওয়ালমার্ট। অগাস্টের ২০ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ম্যানহাটন আদালতে দায়ের করা হয় মামলাটি। নিজেদের সবগুলো ব্যবসা কেন্দ্র থেকে টেসলার সোলার প্যানেল সরিয়ে ফেলতে চেয়েছিল তারা।

উল্লেখ্য, ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ওই আগুন ধরার ঘটনাগুলো ঘটে বলে জানিয়েছে আরকানস’ অঙ্গরাজ্যের বেনটনভিলভিত্তিক ওয়ালমার্ট।

রয়টার্স উল্লেখ করেছে, নিজের ইচ্ছাতেই মামলাটি উঠিয়ে নিয়েছে ওয়ালমার্ট। ফলে অমীমাংসিত বিবাদটির সমাধানে চাইলে ফের আদালতে যাওয়ার পথ খোলা আছে প্রতিষ্ঠানটির জন্য।

ঠিক কী পরিমাণ অর্থে বা শর্তে সমঝোতা হয়েছে, সে বিষয়ে বাড়তি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ওয়ালমার্ট। আর টেসলা আইনজীবিরা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। মূলত বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা ২০১৬ সালে সোলার প্যানেল ব্যবসায় হাত দেয়। সে সময় ২ হাজার ছয়শ’ কোটি ডলারের বিনিময়ে সোলারসিটি কর্পোরেশন নামের একটি ব্যবসা কিনে নিয়েছিল মার্কিন ওই বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা। পরে সেটির নাম বদলে নতুন নাম রাখা হয় ‘টেসলা এনার্জি অপারেশন’।

বর্তমানে খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই টেসলার ওই ব্যবসাটি। প্রতিষ্ঠানটির বাজারে শেয়ারের দাম পড়তির দিকে । চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের হিসেব অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা কমেছে ৭ শতাংশ।