সোমবার নিজেদের ওই ফলাফল সম্পর্কে জানিয়েছে বোয়িং। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, “ক্যাপসুলের ‘প্যাড অ্যাবোর্ট’ ফিচার পরীক্ষাকালীন ত্রুটিটি ধরা পড়েছে।” প্যাড অ্যাবোর্ট ফিচারটি মূলত জরুরি অবস্থায় ‘ক্রু’-দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। --- খবর রয়টার্সের।
বোয়িংয়ের মুখপাত্র টড ব্লিচার এ প্রসঙ্গে এক ইমেইলে বলেছেন, “কেন তিনটি প্যারাশুটই খোলেনি, তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে পরীক্ষার হিসেব এবং ‘ক্রু’ নিরাপত্তার খাতিরে বিচার করলে, দুটি প্যারাশুট খোলাকে সাফল্য বলা যায়।”
সবমিলিয়ে সোমবারের পরীক্ষাটি সফল হয়েছে বলেই দাবি ব্লিচারের।
ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ স্টারলাইনারের প্রথম মিশন সম্পন্ন হওয়ার কথা। সেদিন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হবে ক্যাপসুলটি। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবং বোয়িং দুটি প্রতিষ্ঠানই ওই দিনটির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছে।
২০১১ সালের পর থেকেই নাসার রকেট ও ক্যাপসুল তৈরির দায়িত্বটি মূলত পালন করছে বোয়িং এবং ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। ২০১১ সালে শেষ হয় নাসার নিজস্ব স্পেস শাটল প্রোগ্রামটি।
বোয়িং এবং স্পেস এক্স বেশ অনেকদিন ধরেই এ ধরনের প্যারাশুট খোলার বিষয় নিয়ে প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। এ নিয়ে সমালোচনা, জল্পনা-কল্পনাও কম হয়নি। বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর ক্যাপসুলের সুপারসনিক গতি কমানোর জন্যই মূলত প্যারাশুটে সাহায্য নেওয়া হয়।
বোয়িং-এর সাম্প্রতিক ক্যাপসুল পরীক্ষা ফলাফল প্রসঙ্গে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নাসা জানিয়েছে, ফলাফলটি ‘গ্রহণযোগ্য’।