সাইবার যুদ্ধের মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান

প্রথমবারের মতো সাইবার যুদ্ধের মহড়া দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান। ‘দ্য সাইবার অফেন্সিভ অ্যান্ড ডিফেন্সিভ এক্সারসাইজ’ নামের ওই মহড়াটির অংশ হিসেবে সপ্তাহজুড়ে তাইওয়ানের সরকারি কর্মকর্তাদের ফিশিং ইমেইল এবং টেক্সট পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Nov 2019, 11:29 AM
Updated : 5 Nov 2019, 11:29 AM

মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা আমেরিকান ইন্সটিটিউট ইন তাইওয়ান (এআইটি)-এর সঙ্গে মহড়ায় নেমেছে তাইওয়ান। মার্কিন সংস্থা এআইটি বলছে, উত্তর কোরিয়া এবং ওই দেশটির মতো অন্যান্য রাষ্ট্রের সাইবার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো প্রস্তুতি নেওয়াই এ মহড়ার মূল লক্ষ্য। --- খবর বিবিসি’র।

তবে, মূল চীনা ভূখণ্ড থেকে সবচেয়ে বেশি সাইবার আক্রমণ করা হয় এমনটাই দাবি তাইওয়ানের। গত মাসেই এক তাইওয়ানিজ কর্মকর্তা বলেন, “এ ধরনের আক্রমণ প্রতিহত করা, আর যুদ্ধ করা সমান কথা।” যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউট ফর ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের ভির্লি নোওয়েনস এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন, “চীনকে সাইবার আক্রমণের ঘাঁটি হিসেবেই দেখে তাইওয়ান।”

তাইওয়ানের সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি’র মহাপরিচালক আগে বলেছিলেন, ‘প্রতি মাসে আনুমানিক ৩ কোটি সাইবার আক্রমণের সম্মুখীন হয় তাদের সরকারি নেটওয়ার্ক। এর মধ্যে অর্ধেক হামলাই আসে চীন থেকে।’

বিবিসি উল্লেখ করেছে, সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান সাইবার যুদ্ধ মহড়া চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। মহড়ায় সরকারি ওয়েবসইটে আক্রমণের চেষ্টার পাশাপাশি ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকেও লক্ষ্য করা হবে। ম্যালিশাস যোগাযোগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বোকা বানানোর চেষ্টাও করা হবে।

মাইক্রোসফট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘দ্য সাইবার অফেন্সিভ অ্যান্ড ডিফেন্সিভ এক্সারসাইজ’ (কোড) নামের ওই মহড়াটির উদ্বোধন করেন এটিআই-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেমন্ড গ্রিন। মহড়াটিকে ওয়াশিংটন-তাইপে সম্পর্কের ‘নতুন দ্বার’ হিসেবেও অভিহিত করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে গ্রিন বলেছেন, “বর্তমানের সবচেয়ে বড় হুমকি সমুদ্র সৈকতে অবতরণ করা কোনো সেনাবাহিনী নয়। বর্তমানের মূল হুমকি আমাদের সামাজিক ও নেটওয়ার্ক উদারতার অপব্যবহারকারীরা। যে কোনো সাইবার হুমকি নানাভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুতর প্রভাব ফেলে।”

সাইবার যুদ্ধ মহড়াটিতে তাইওয়ানকে প্রতিরক্ষায় সাহায্য করছে অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং জাপানের মতো দেশগুলোর কর্মকর্তারা। বিবিসি বলছে, মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে তৈরি আন্তর্জাতিক কম্পিউটার-আক্রমণ সিমুলেশন ‘সাইবার স্টর্ম এক্সারসাইজ’ ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রতি বছরই সিমুলেশনটি নিয়ে অনুশীলনের আয়োজন করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৮ সালের আয়োজনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল তাইওয়ান। কিন্তু সেবার দেশটিকে আমন্ত্রণ জাননো হয়নি।

মহড়া শেষে তাইয়ানের বিভিন্ন স্থানে মার্কিন সাইবার-সুরক্ষা বিশেষজ্ঞদের সেমিনার আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাইওয়ানে অবস্থিত মার্কিন সংস্থা এআইটি’র।