যানবাহন মনিটরের প্রকল্প জিতল বাংলালিংক ইনোভেটর্স

প্রায় ১৭ হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে যানবাহন মনিটরিং, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং দৈনন্দিন ব্যবহার্য দ্রব্য যাচাইয়ের প্রকল্প জিতে নিয়েছে বাংলািলিংক আয়োজিত ইনোভেটর্স প্রতিযোগিতার শীর্ষ পুরস্কারগুলো।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Nov 2019, 10:38 AM
Updated : 3 Nov 2019, 10:38 AM

তরুণদেরকে নতুন পরিকল্পনা, নতুন উদ্যোগ ও নতুন সৃষ্টিতে উৎসাহী করে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর ডিজিটাল ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বিষয়ক এ প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক।

কয়েকটি ধাপে বাছাইয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত প্রতিযোগীদের নির্বাচন করা হয় বলে জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠানটি। এরপর প্রতিযোগীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ‘গ্রুমিং সেশন’ আয়োজন করা হয় যেখানে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেন তারা। গ্র্যান্ড ফিনালেতে নিজ নিজ ডিজিটাল ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উপস্থাপন করে পাঁচ প্রতিযোগী দল। উপস্থাপিত পরিকল্পনা মূল্যায়ন করে সেরা তিন দলকে নির্বাচিত করেন বাংলালিংকের জুরি প্যানেল।

সেরা ওই তিন দলের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে যানবাহনের সার্বিক অবস্থা মনিটর করার ডিজিটাল পরিকল্পনা উপস্থাপন করে বিজয়ী হয় টিম সিলভার লাইনিং এবং যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে টিম লাস্ট মিনিট ও টিম থ্রি অ্যান্ড অ্যা হাফ মেন। দল দুটি সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত দ্রব্য যাচাই ব্যবস্থার উপর নিজ নিজ ডিজিটাল পরিকল্পনা উপস্থাপন করে।

প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দল বাংলালিংক-এর স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রামের অ্যাসেসমেন্ট সেন্টারে যোগদানের সুযোগ পাবে। পাশাপাশি তারা অ্যামস্টার্ডামে বাংলালিংক-এর স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওনের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করবে। প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্স আপ দলের জন্য ছিল স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রামে যোগদানের সুযোগসহ পুরস্কার।

সেরা ৫ দলের প্রত্যেক সদস্যই সরাসরি যোগ দিতে পারবেন বাংলালিংক-এর ‘অ্যাডভান্সড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে (এআইপি)’। চাইলে ‘লার্ন ফ্রম স্টার্টআপস’ ও ‘ক্যাম্পাস টু কর্পোরেট প্রোগ্রামসেও’ অংশ নিতে পারবেন তারা।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এবারের আসরের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী ও চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, বাংলালিংকের চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যরা।

তাইমুর রহমান বলেন, “টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে ডিজিটাল উদ্ভাবনকে এখন সারা বিশ্বে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে।”

“তরুণদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে ভবিষ্যতেও তাদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখবে বাংলালিংক।”