বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির আদালতের ওয়েবসাইটেও হামলা করা হয়েছে যেখানে মামলার উপাদান এবং ব্যক্তিগত তথ্য জমা আছে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে ওয়েবসাইটের হোম পেইজে সাবেক প্রেসিডেন্ট মিখায়েল সাকাশভিলির ছবি বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এতে ক্যাপশন রয়েছে “আমি ফিরে আসবো।”
সাইবার হামলার সূত্র এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যমগুলোতে প্রচার করছেন যে, এর পেছনে রাশিয়ার হাত থাকতে পারে।
বিবিসি’র প্রতিবেদক রায়ান দিমিত্রি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা তাকে জানিয়েছেন যে জর্জিয়ান সরকারি ওয়েবসাইটগুলোর “সুরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল এবং হামলা প্রতিহত করতে অক্ষম।”
বেসরকারি সংস্থা এবং ব্যক্তিগত মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানসহ দুই হাজারের বেশি ওয়েবসাইট লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলেও জানানো হয়।
টিভি স্টেশন ইমেডি’র সংবাদ বিভাগের প্রধান ইরাকলি শিকলাজে এক ফেইসবুক পোস্টে বলেন, “কোনো সিগনাল নেই, আর স্টেশনটি সম্প্রচার করতে পারছে না।”
ইমেডি এবং অন্য আরেকটি নেটওয়ার্ক আক্রান্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সারে ইউনিভার্সিটির সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অ্যালান উডওয়ার্ড বলেন, “এই হামলা বিস্তৃতি এমন যা আমরা আগে কখনও দেখিনি।”
“বিস্তৃতি এবং লক্ষ্য থেকে এমনটা ধারণা করা কষ্টকর নয় যে, এটি রাষ্ট্রীয় মদদে চালানো হামলা।”
২০০৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দুই দফায় জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন সাকাশভিলি।
২০১৫ সালে ইউক্রেইনের ওডিসা অঞ্চলের গভর্নর হওয়ার পর জর্জিয়ার নাগরিকত্ব ছেড়েছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
জর্জিয়ায় অপরাধ মামলায় আসামী করা হয়েছে সাকাশভিলিকে। তার দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই মামলাগুলো করা হয়েছে।