শনিবার বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও আমাদের প্রস্তুতি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি বলেন, “প্রযুক্তি মানুষের জন্য, মানুষ প্রযুক্তির জন্য না। অর্থাৎ মানুষকে বলি দিয়ে প্রযুক্তিকে মাথায় তুলে নিয়ে কোনো সভ্যতা গড়ে উঠতে পারলে, সেই সভ্যতায় বাংলাদেশ বিশ্বাসী না।
“আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলিউশন আর দশটা দেশের মতো হবে না। আমরা মেধাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। মানুষকে পণ্য নয়, বরং মানবসম্পদে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বাসী।”
এই জন্য মানবসম্পদকে সবচেয়ে বড় সম্পদ হিসেবে তৈরি করার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
“আমার একটা যুদ্ধ ছিল কম্পিউটারে বাংলা ভাষা। আর এখনকার যুদ্ধ হচ্ছে শিশুদেরকে প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগী ওঠার শিক্ষা প্রদান করা। শিশুদেরকে প্রোগ্রামার হিসেবে তৈরির পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে মানুষ আমাকে পাগল বলে মন্তব্য করেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আমার প্রাপ্তির জায়গাটা মূল্যায়নের উপযুক্ত।”
তিনি বলেন, “২০১৮ সালে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় আমি লক্ষ্য করেছি, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা ক্লাস টু, থ্রি, ফোর, ফাইভের বাচ্চারা অসাধারণভাবে প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষতা লাভ করেছে, নিজেরা সফটওয়্যার তৈরি করেছে, তা দিয়ে গেইম খেলেছে। এদের দেখে আমার মনে হয়েছে এরা অসাধারণ একটা মেধাবি জাতি।”
শিল্পায়নের বর্তমান অবস্থার কথা উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, “শিল্পায়নে আমরা খুব একটা সফল হতে পারি নাই। গার্মেন্টস শিল্পে অগ্রগতি সাধন করেছি, কিন্তু আমরা আসলে এ শিল্পে পৃথিবীর দর্জি।”
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টেলিকম ও আইসিটি বিশ্লেষক টি আই এম নূরুল কবির।
এছাড়া ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের সভাপতি এ কে এম এ হামিদ, ফাইবার অ্যাট হোম লিমিটেডের চিফ টেকনোলজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম রিজভী প্রবন্ধ উপস্থান করেন।
সেমিনারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিএসসিসিএলের চেয়ারম্যান এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।