ডার্ক ওয়েবে নাম লেখালো বিবিসি

নিজেদের সংবাদ সাইটের ‘ডার্ক ওয়েব কপি’ তৈরি করেছে বিবিসি। চীন, ইরান, ভিয়েতনাম-এর মতো দেশগুলোর সংবাদ সেন্সর নীতিমালা এড়িয়ে ‘সবার কাছে নিজেদের সংবাদ পৌঁছে দেওয়া’র লক্ষ্যেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2019, 10:31 AM
Updated : 24 Oct 2019, 10:31 AM

বিবিসি নিউজের আন্তর্জাতিক সংস্করণটির ‘ডার্ক ওয়েব কপি’ তৈরি করা হয়েছে। টর ব্রাউজারের মাধ্যমে ভিজিট করা যাবে ওই কপি সাইটটি। ভিজিটরদের সুবিধার্থে শুধু টর ব্রাউজারেই ব্যবহার করা যাবে এমন লিংকও দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে তৈরি করা বিবিসির প্রতিবেদনে।

দ্য অনিয়ন রাউটার-এর সংক্ষিপ্ত রূপ ‘টর’। এর মূল ডিজাইনটি করেছিল ইউএস ন্যাভাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি। অবস্থানগত তথ্য, ব্রাউজিং ডেটা এবং পরিচয় প্রকাশ না করে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের গোপনতার নিশ্চয়তা দেয় এই ব্রাউজারটি।

ব্যবহারকারীকে ট্র্যাক করা যায় না বলে দ্রুতই এই ব্রাউজারটি ডার্ক ওয়েবের সাইট ভিজিট করার কাজেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ডার্ক ওয়েব বলতে ইন্টারনেটের এমন অংশকে বুঝায় যা সাধারণ ব্রাউজারের সাহায্যে নাগাল পাওয়া সম্ভব হয় না। অনেক ক্ষেত্রেই ডার্ক ওয়েবকে প্রচলিত আইন সমর্থন করে না এমন কর্মকাণ্ডসংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের সমার্থক মনে করা হয়। ডার্ক ওয়েব ব্রাউজ করা বেআইনী নয় কিন্তু ডার্ক ওয়েবে অনেক বেআইনী পণ্য ও তথ্যের নাগাল পাওয়া সম্ভব।

ব্যবহারকারীরা চাইলে নতুন তৈরি করা বিবিসি’র ওই সাইটটির সংবাদ ফার্সী, আরবী, রুশ ইত্যাদি ভাষায়ও পড়তে পারবেন। তবে, সাইটটিতে থাকছে না বিবিসি’র আইপ্লেয়ার। যুক্তরাজ্যের জন্য তৈরি হয়েছে এমন কোনো কনটেন্টও থাকবে না সেখানে।

বিবিসি বলছে, যুক্তরাজ্যের সম্প্রচার নীতিমালার কারণেই সাইটে ওই ধরনের কনটেন্ট না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

অতীতে চীন, ইরান, ভিয়েতনামসহ আরও অনেক দেশেই একাধিকবার বিবিসি নিউজের ওয়েবসাইট ব্লক করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক দেশে আবার বিবিসি সাইটের সংবাদ পড়ার কারণে সরকারি নজরদারির শিকার-ও হতে হয় নাগরিকদের। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যাতে এ ধরনের কোনো ঝামেলায় না জড়িয়ে বিবিসি সংবাদ পড়তে পারেন, সেজন্যই উদ্যোগটি নিয়েছে বিবিসি।

এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের সংবাদ কনটেন্ট এখন টর নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এতে করে বিবিসি নিউজ ব্লক করে রাখা হয়েছে বা বিবিসি নিউজের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এমন দেশের গ্রাহকরাও সংবাদ পড়তে পারবেন। বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের মূলনীতি ‘বিশ্বব্যাপি নির্ভরযোগ্য সংবাদ পরিবেশনের’ বিষয়টি মেনেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”