‘স্টাডি দ্য গ্রেট নেশন’ নামের অ্যাপটিকে বিশ্লেষণ করে নজরদারি চালানোর মতো অসংখ্য উপাদান ও গোপন ফিচার খুঁজে পেয়েছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিওর ৫৩-এর ফোন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, অ্যাপটির মাধ্যমে নাগরিকদের ডেটায় ‘সুপার-ইউজার’ হিসেবে প্রবেশাধিকার পায় সরকার-- খবর বিবিসি’র।
দেশটির অফিশিয়াল ওই অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়েছে ১০ কোটি বারের বেশি। ফলে যারা ওই অ্যাপটি ডাউনলোড ও ইনস্টল করেছেন তাদের প্রত্যেকেই রয়েছেন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সম্ভাব্য নজরদারির আওতায়।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা ওপেন টেকনোলজি ফান্ডের অনুরোধেই ওই গবেষণাটির কাজে হাত দেয় জার্মানির সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান কিওর ৫৩। ওই গবেষণা প্রতিবেদনের বরাতেই জানা গেছে এতো সব তথ্য।
চীন সরকার এই অ্যাপটি ডাউনলোড ও ব্যবহার করার জন্য নাগরিকদের যথেষ্ট উদ্বুদ্ধ করেছে।
অ্যাপটির সাহায্যে চাইলেই ব্যবহারকারীদের ফোনে অনুপ্রবেশ করে চীন সরকারের পক্ষে যাবতীয় তথ্য কপি করে নেওয়া সম্ভব। তবে এতোসব গোপন ফিচার খুঁজে পেলেও ব্যবহারকারীদের ডেটায় চীন সরকার এরই মধ্যে নজরদারি চালিয়েছে কি না সে প্রমাণ খুঁজে পায়নি কিওর ৫৩।
এ বিষয়ে ওপেন টেকনোলজির গবেষণা পরিচালক অ্যাডাম লিন বলেছেন, “এরকম একটি অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ডিভাইসে এই মাত্রার প্রবেশাধিকারের বিষয়টি অবাক করার মতো। এর শুধু একটি ব্যাখ্যাই হতে পারে, আর তা হলো, অ্যাপটিকে এমন কোনো কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে যা করা উচিত নয়।”
এদিকে চীন সরকার বলছে, কিওর ৫৩-এর গবেষণা প্রতিবেদনে অ্যাপটির কার্যক্রম ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাদের ভাষ্য, এই ফ্রি প্রোগ্রামটিতে “ওরকম কিছুই করা হয় না”।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে উন্মুক্ত করা হয় ‘স্টাডি দ্য গ্রেট নেশন’। এখন পর্যন্ত চীনে সর্বাধিক ডাউনলোড হওয়া এই বিনামূল্যের অ্যাপের মাধ্যমে মূলত সরকারি ছবি ও সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ওই সংবাদগুলো পড়ার মধ্য দিয়ে জনসাধারণকে পয়েন্ট সংগ্রহ করতে উৎসাহিত করছে চীন সরকার। পাশাপাশি, দলীয় কর্মী এবং সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ‘স্টাডি দ্য গ্রেট নেশন’ অ্যাপের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।