কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শক্তি বদলে দেবে সমাজকে: পলক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অবিশ্বাস্য শক্তি সমাজকে সুনিপুণভাবে বদলে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2019, 06:12 AM
Updated : 5 Oct 2019, 06:15 AM

ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে গত শুক্রবার ‘ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিট ২০১৯’ বক্তব্যে তিনি বলেছেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে মানবতার জন্য অনেক ভালো কাজ করার সুযোগ রয়েছে।”

সম্মেলনে ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ফর অল’ শীর্ষক কর্মশালায় প্যানেল আলোচনায় পলক একথা বলেন বলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

নয়া দিল্লির তাজ প্যালেস হোটেলে ওয়ার্ল্ড ইকোমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ফর অল’ শীর্ষক কর্মশালাটি হয়।

পলক বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে মানুষের চেয়ে অনেক বেশি দক্ষতার সাথে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা এবং বিশাল পরিমানের তথ্য-উপাত্ত যাচাই বাছাই করা সম্ভব।

প্যানেল আলোচনায় গ্লোবাল এশিয়া-প্যাসিফিক আমেরিকা লিডারশিপ দলের উপদেষ্টা দীপংকর সানওয়ালকা ও এইচপি এন্টাপ্রাইজ ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সম সাটশানগি বক্তব্য রাখেন।

ওয়ার্ল্ড ইকোমিক ফোরামের আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ও মেশিন লার্নিংয়ের কে এফ ভুটারফিল্ড ছিলেন আলোচনার সঞ্চালক।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আর্টিফিশিয়াল টেকনোলজি আসার পর মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজতর করতে আমরা স্বাস্থ্য, শিক্ষা ট্রাফিক ব্যবস্থাসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য এই প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে কাজ করছি।”  

বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ‘ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ কৌশলপত্রের প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত করেছে বলেও উল্লেখ করেন পলক।

তিনি বলেন, “ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে একদিকে মেশিনের কার্যক্রম বাড়বে। অন্যদিকে, মানুষের কার্যক্রম কমে আসবে। এজন্য,মানুষকে নতুন করে প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে।”

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের রেলওয়ে, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের উপস্থিতিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশ এবং ভারতের টেক মাহিন্দ্রার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক বিনিময় হয়।

জুনাইদ আহমেদ পলক এবং টেক মাহিন্দ্রার প্রেসিডেন্ট সুজিত বক্সী সমঝোতা চুক্তি হস্তান্তর করেন।

এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে ডিজিটাল স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের বিকাশের জন্য এবং উদীয়মান উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ ও অন্যান্য সহযোগিতায় যৌথভাবে কাজ করবে দুই প্রতিষ্ঠান।