বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, রুইজ স্বীকার করেছেন যে যৌন ছবি এবং ভিডিও খুঁজতে প্রায় ছয় হাজার অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন তিনি।
মার্কিন বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রাহকের পাসওয়ার্ড ‘ক্র্যাক’ করেছেন রুইজ এবং পর্নোগ্রাফি খুঁজতে ইয়াহুর অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থায় প্রবেশ করেছেন।
গ্রাহক নিজের ইয়াহু অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে যে অনলাইন সেবাগুলোতে নিবন্ধন করেছেন সেগুলোতেও হানা দিয়েছেন রুইজ।
মার্কিন বিচার বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রুইজ যেসব ইয়াহু অ্যাকাউন্টের অ্যাকসেস নিয়েছেন সেগুলো দিয়ে অ্যাপল আইক্লাউড, ফেইসবুক, জিমেইল, ড্রপবক্স এবং অন্যান্য অনলাইন অ্যাকাউন্টেও হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।
অন্যান্য অনলাইন সেবায় প্রবেশ করতে ইয়াহু অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পাসওয়ার্ড রিসেট করেছেন তিনি।
হ্যাকিংয়ের সময় বন্ধু, সহকর্মীসহ অনেক তরুণীকে লক্ষ্য বানিয়েছেন রুইজ। গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে পাওয়া অনেক ছবি এবং ভিডিও তিনি তার বাড়িতে মজুদ করেছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৮ সালে ইয়াহু বিষয়টি বুঝে ফেলার পরই রুইজ তার কম্পিউটার এবং হার্ড ড্রাইভগুলো নষ্ট করে ফেলেন, যেখানে চুরি করা ডেটাগুলো মজুদ ছিলো।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রুইজের মামলার রায় ঘোষণা করার কথা রয়েছে। এ ঘটনায় আড়াই লাখ মার্কিন ডলার জরিমানাসহ সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং অন্যান্য ক্ষতিপূরণের সাজা দেওয়া হতে পারে।