এক টুইট বার্তায় সিনেটর জশ হাউলি বলেন, জাকারবার্গের সঙ্গে তিনি ওয়াশিংটনে সাক্ষাৎ করেছেন এবং তিনি জাকারবার্গকে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম বিক্রি করতে বলেছেন।
ফেইসবুকের সবচেয়ে বড় এই সমালোচক তার বার্তায় আরও জানিয়েছেন, “জাকারবার্গের সঙ্গে তার খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। ফেইসবুক পক্ষপাতিত্ব, গোপনীয়তা এবং প্রতিযোগিতার ব্যাপারে কতোটা সচেতন তা দেখাতে জাকারবার্গকে দুটি পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে, ১। হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম বিক্রি করতে হবে। ২। সেন্সরশিপের ক্ষেত্রে স্বাধীন তৃতীয় পক্ষের কাছে নিরীক্ষণের জন্য উন্মুক্ত হতে হবে।”
জাকারবার্গ দু’টি চ্যালেঞ্জকেই নাকচ করে দিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আইএএনএস।
পরবর্তীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন জাকারবার্গ।
ট্রাম্প তার এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন “ওভাল অফিসে আজ জাকারবার্গের সঙ্গে সুন্দর একটি সাক্ষাৎ হয়েছে।”
কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা তথ্য কেলেঙ্কারির ঘটনার পর হাউস অ্যান্ড সিনেট কমিটিতে যাচাইয়ের পর এবারই প্রথম ওয়াশিংটন সফরে গিয়েছেন জাকারবার্গ। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা তথ্য কেলেঙ্কারির ওই ঘটনায় ৮.৭ কোটি গ্রাহকের তথ্য ফাঁস হয়।
ফেইসবুক থেকে হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এমন গুজব উঠলেও সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গও বলেন এধরনের কথার কোনো ভিত্তি নেই।
স্যান্ডবার্গ আরও বলেন, “আপনারা হয়তো আমাদেরকে ভাঙতে পারবেন, অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে ভাঙতে পারবে, কিন্তু গ্রাহক যে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ দেখাচ্ছে সেটি নিয়ে কথা বলতে পারবেন না।”
সামাজিক মাধ্যমটি ভাঙ্গার এই বিষয়ে অনেক সিনেটরই সমর্থন দিচ্ছেন বলেও জানানো হয়েছে। ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সিনেটর কামালা হ্যারিস কর্তৃপক্ষের ওপরে জোর দিয়েছেন বিষয়টিকে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য। কারণ তিনি মনে করছেন বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
২০২০ সালের আরেক ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেনও ফেইসবুক ভাঙ্গার কথা বলেছেন।
এসব প্রস্তাবকেই নাকচ করেছেন জাকারবার্গ এবং তিনি মনে করেন সামাজিক মাধ্যমটি এমন বড় আকারে একত্রিত থাকাটাই জনগনের জন্য ভালো হবে এবং তা গণতান্ত্রিকভাবে নিরাপদও হবে।