সদ্য ঘোষিত সাতটি ফোনের মধ্যে দুটি ফোন অ্যান্ড্রয়েড চালিত। মধ্যম শ্রেণিভূক্ত এই ফোনগুলো বিশ্ববাজারেও নতুন। এর পাশাপাশি রয়েছে ভিন্ন ধরনের আরও পাঁচটি ফোন। হঠাৎ করেই এতোগুলো মডেলের উন্মোচন মোবাইল ফোন বাজারে কি নতুন কোনো ইঙ্গিত দেয়? জোরেসোরে ফিরে আসতে চাইছে নোকিয়া? এ বিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম রাভি কানওয়ারের সঙ্গে। তিনি নোকিয়া ব্র্যান্ডের মালিক প্রতিষ্ঠান এইচএমডি গ্লোবালের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান।
স্মর্টফোনের বাইরে নতুন একটি মডেল অনেকেরই নজর কেড়েছে- ‘৮০০ টাফ’। নাম শুনেই খানিকটা ধারণা করা যায় কঠিন পরিবেশে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে এই ফোন। কিন্তু এটি স্মার্টফোন নয়। ফলে, রোমঞ্চকর পরিবেশে ব্যবহারের জন্য নতুন অ্যাপ ব্যবহার করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তাই না?
যে প্রশ্নটি অনেকের মনেই সম্ভবত ঘুরপাক খাচ্ছে সেটি হলো নোকিয়ার আগামী দিনগুলো কোন দিকে যাচ্ছে। আর পাঁচ বছর পর কোথায় থাকবে নোকিয়ার অবস্থান? রাভি স্বীকার করলেন যে, স্মার্টফোনের বাজার অসম্ভব দ্রুত বদলায় আর চ্যালেঞ্জিংও। এর মধ্যেই কয়েকটি নির্দ্রিষ্ট পয়েন্ট ধরে তিনি ব্যখ্যা করলেন তার উত্তর। প্রথমত নোকিয়া অল্প সময়ের মধ্যেই সব শ্রেণির ফোন বাজারে এনেছে। দ্বিতীয়ত প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যেই মার্কিন অপারেটরদের হাত ধরে গুরুত্বপূর্ণ এই বাজারটিতে প্রবেশ করেছে। আর তৃতীয়ত এই ব্র্যান্ডটি বার ব্যবসার পরিসর এমনভাবে বাড়াচ্ছে যেখানে স্থায়ীত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আর অ্যান্ড্রয়েড বাজার? সেখানে নোকিয়া বলতে আপনি কী বোঝেন?
“আমরা ভোক্তাদের কাছে একটি অনন্য অ্যান্ড্রয়েড অভিজ্ঞতার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি – ফোনের জন্য তিন বছরের জন্য গ্যারান্টি থাকছে। প্রতি মাসেই আসছে নিরাপত্তা আপডেট। সেইসঙ্গে দুই বছরের জন্য ওএস আপডেটও পাওয়া যাবে।”
“নোকিয়া এই মুহূর্তে একমাত্র স্মার্টফোন নির্মাতা যারা পুরো লাইনআপজুড়ে সর্বশেষ সংস্করণের অ্যান্ড্রয়েড দিচ্ছে, সেটা অ্যান্ড্রয়েড গো থেকে অ্যান্ড্রয়েড ওয়ান পর্যন্ত প্রযোজ্য। আর এখন আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি অ্যান্ড্রয়েড ১০-এর দিকে।