দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪৭ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোডিং সম্পর্কিত দক্ষতা ও জ্ঞান বিকশিত করা এবং শিক্ষা ও প্রাযুক্তিক পেশাদারিত্বের সমন্বয় ঘটানো এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য ছিল বলে জানিয়েছে স্যামসাং।
তরিকুল পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন একটি মেডেল, ক্রেস্ট এবং ৫০,০০০ টাকা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানের জন্য পুরস্কার ছিল যথাক্রমে ৩০,০০০ ও ২০,০০০ টাকা।
স্যামসাং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (এসআরবিডি)-এর উদ্যোগে এটি ছিল দ্বিতীয় সিজনের কোডিং কনটেস্ট। উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রতিযোগিতাটি ২১ জুন শুরু হয়ে শেষ হয়েছে ৩১ আগস্ট।
এসআরবিডি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক উনমো কু অংশগ্রহণকারীদের ভালো কাজ চালিয়ে যাওয়া এবং প্রতিনিয়ত এই ধরণের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের জন্য উৎসাহ প্রদান করেন, যা বাংলাদেশি তরুণদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
প্রতিযোগিতাটি তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম ধাপের অনলাইন এলিমিনেশন রাউন্ডে ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিযোগী অংশ নেন। এতে প্রতিযোগীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সি, সি++ ও জাভা ব্যবহারের মাধ্যমে অ্যালগরিদম সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করতে হয়েছে। দ্বিতীয় কোয়ালিফাইং রাউন্ডে অংশগ্রহণকারী ১১০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৫০ জন প্রতিযোগী ফাইনাল রাউন্ডে পৌঁছেন। এরপর ফাইনাল রাউন্ডে প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে বছরের সেরা ১০ জন কোডিং পারদর্শী নির্বাচিত হন।
আয়োজনে সাত জন প্রতিযোগীকে চতুর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এরা হলেন- তানভীর মুত্তাকীন (বুয়েট), হাসিন রায়হান দেওয়ান ধ্রুব (বুয়েট), মাহমুদ সাজ্জাদ আবির (ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি), তারিক সালাম সজল (বুয়েট), কাজী সোহান (জেইউ) এবং অনিক সরকার (বুয়েট)। এই দশ জন শিক্ষার্থী এসআরবিডি-তে কাজ এবং ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাবেন।