অ্যাপটি চীনা আইওএস অ্যাপ স্টোরে আপলোড করা হয় শুক্রবার। অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাল জাও-এর ডাউনলোড সংখ্যা ছাড়ায় কয়েক মিলিয়ন। জনপ্রিয় হলেও এটি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কিছু গ্রাহক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি কীভাবে ব্যক্তির পরিচয় যাচাইয়ে প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা; খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।
টুইটারের মতো চীনা মাইক্রো ব্লগিং সাইট ওয়েইবোতে জাও-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রাহক সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় তাদের সার্ভার প্রায় ক্র্যাশ করছিলো।
বিশ্বজুড়ে অ্যাপের ডাউনলোড পর্যবেক্ষক সাইট অ্যাপ অ্যানির তথ্যমতে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীনা আইওএস অ্যাপ স্টোরের সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হওয়া বিনামূল্যের অ্যাপ হলো জাও।
জাও অ্যাপটিতে গ্রাহক তার ফোন নাম্বার দিয়ে সাইন আপ করেন এবং স্মার্টফোনে তোলা তাদের চেহারার ছবি আপলোড করেন। সেলিব্রেটিদের বহু ভিডিওতে তাদের নিজের চেহারা বসিয়ে তা বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করা যায়।
চীনা সেলিব্রেটিদের পাশাপাশি লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এবং মেরিলিন মনরোসহ আরও অনেকের চেহারা রয়েছে অ্যাপটিতে।
বন্ধুর উইচ্যাটে ফিডে ভিডিও দেখে জাও নামের অ্যাপটি ডাউনলোড করেন শাংহাইয়ের ২১ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী গু শি। রয়টার্সকে তিনি বলেন, “আমি কখনোই জাপানি মেকাপ এবং চুলের স্টাইল ব্যবহার করিনি কারণ সেগুলো নিজে করা অনেক জটিল। এই অ্যাপটি আমার সাধারণ জীবনের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন স্টাইল ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে।”
ভাইরাল এই অ্যাপটি নিয়ে কিছু গ্রাহক অভিযোগ করেছেন যে, এটির গোপনীয়তা নীতিমালা তাদেরকে বিপদে ফেলতে পারে।
অ্যাপের গ্রাহক চুক্তি বিভাগের একটি অংশে বলা হয়েছে, যেসব গ্রাহক তাদের ছবি আপলোড করছেন তারা জাও-এর কাছে তাদের মেধাসত্ত্ব সম্পত্তি সমর্পনে অনুমতি দিচ্ছেন এবং জাওকে প্রচারণার উদ্দেশ্যে এই ছবিগুলো ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছেন।
ওয়েইবোর এক পোস্টে জাও-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
“আমরা বুঝতে পারছি গোপনীয়তার বিষয়ে গ্রাহকের উদ্বেগ রয়েছে। আমরা আপনাদের দেওয়া প্রশ্ন পেয়েছি। আমরা কিছু জায়গা ঠিক করবো যা আগে বিবেচনা করা হয়নি এবং এতে কিছুটা সময় লাগবে।”
জাও অ্যাপটি এনেছে মমো ইনকর্পোরেটেড। ডেটিং অ্যাপের জন্যই বেশি পরিচিত এই প্রতিষ্ঠানটি পরবর্তীতে লাইভ স্ট্রিমিং সেবায় রূপান্তরিত হয়েছে। ২০১৪ সালে নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়েছে মমো।