চার বছর প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন ওয়েইসলার। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ প্রান্তিকের আয়ের হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে, যা ওয়াল স্ট্রিটের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। এতে এইচপি’র শেয়ার মূল্য কমেছে ছয় শতাংশ।
পারিবারিক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে ৫২ বছর বয়সী ওয়েইসলার প্রতিষ্ঠান ছাড়ছেন বলে জানিয়েছে এইচপি। ১ নভেম্বর থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নেবেন এইচপি ইমেজিং, প্রিন্টিং এবং সলিউশন ব্যবসার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ৩০ বছর বয়সী এনরিক লোরস-- খবর রয়টার্সের।
প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড চেয়ারম্যান চিপ বার্গ বলেন, “বোর্ডের পক্ষ থেকে আমরা, ডিওনের পরিবারের চাহিদাকে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছি।”
একজন শিক্ষানবীশ প্রকৌশলী হিসেবে এইচপিতে যোগ দিয়েছিলেন লোরস। হিউলেট-প্যাকার্ড কর্পোরেটেডকে আলাদা দুইটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে শেয়ার বাজারে নাম লেখাতে ভূমিকা রেখেছেন তিনি। স্যামসাংয়ের প্রিন্টার ব্যবসা ১.০৫ বিলিয়ন ডলারে এইচপি কিনে নেওয়ার পেছনেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
আগে হিউলেট-প্যাকার্ড কোম্পানি নামে পরিচিত ছিল প্রতিষ্ঠানের হার্ডওয়্যার ব্যবসা বিভাগ ক্যালিফোর্নিয়ার এইচপি ইনকর্পোরেটেড। ধারণা করা হচ্ছে চতুর্থ প্রান্তিকে এই প্রতিষ্ঠানটির লাভ হবে শেয়ার প্রতি ৫৫ থেকে ৫৯ সেন্ট।
৩১ জুলাই শেষ হওয়া তৃতীয় প্রান্তিকে এইচপি ইনকর্পোরেটেডের আয় বলা হয়েছে ১৪৬০ কোটি মার্কিন ডলার, যা বিশ্লেষকদের ধারণার চেয়ে কিছুটা কম। প্রতিষ্ঠানের প্রিন্টিং ব্যবসায় বিক্রি কিছুটা কমে যাওয়ায় আয় প্রত্যাশা মতো হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।