সর্ববৃহৎ কম্পিউটার চিপ আনলো সেরিব্রাস

বিশ্বের সর্ববৃহৎ কম্পিউটার চিপ উন্মোচন করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার স্টার্ট-আপ সেরিব্রাস সিস্টেমস।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2019, 03:36 PM
Updated : 20 August 2019, 03:36 PM

নতুন এই ওয়েফার স্কেল ইঞ্জিনটি একটি স্ট্যান্ডার্ড আইপ্যাডের চেয়ে কিছুটা বড় বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এই একটি চিপ স্বচালিত গাড়ি থেকে শুরু করে নজরদারি সফটওয়্যার সব ধরনের জটিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থায় কাজ করবে।

অন্যদিকে এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন এই উদ্ভাবন অনেক ডেটা সেন্টারে ইনস্টল করা সম্ভব হবে না।

এই উন্নয়ন কেনো জরুরী?

বছরের পর বছর ধরে কম্পিউটার চিপ আকারে ছোট এবং দ্রুতগতির হচ্ছে। সাধারণত এক ডজন চিপ একটি ওয়েফারের ওপর বানানো হয়। পরে এগুলো কেটে আলাদা করা হয়।

এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী সিপিইউ-তে ৩০টি প্রসেসর কোর রয়েছে। প্রতিটি কোর একই সময়ে আলাদা আলাদাভাবে গণনার কাজগুলো করতে পারে।

অন্যদিকে জিপিইউ-এর কোর আরও বেশি থাকে। তবে এগুলোর ক্ষমতা কম।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রক্রিয়ার মূল ভিত্তি হলো কাজগুলোকে ছোট ছোট ভাগে ভেঙে নেওয়া এবং একইসঙ্গে আলাদা আলাদা প্রসেসর কোর দিয়ে সেগুলো গণনা করা। এখানে একটি গণনার ফলাফল অন্য গণনার ইনপুট হিসেবে ব্যবহার করা হয় না। এসব কাজে বেশি প্রসেসিং কোরের দরকার হওয়ায় সাধারণত জিপিইউ ব্যবহার করা হয়।

বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী জিপিইউয়ের কোর সংখ্যা পাঁচ হাজার। সেখানে সেরিব্রাসের নতুন এই কম্পিউটার চিপের মোট কোর সংখ্যা চার লাখ। এগুলো সব একে অপরের সঙ্গে হাই-ব্যান্ডউইথ সংযোগের মাধ্যমে যুক্ত।

নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির দাবি বেশি কোর থাকায় জটিল মেশিন লার্নিংয়ের বাধাগুলো সহজে পার করা যাবে এই প্রসেসর দিয়ে। এতে বাধা কম আসবে এবং শক্তি খরচ কমবে।

নতুন এই ওয়েফার স্কেল ইঞ্জিন জটিল ডেটা প্রসেসিংয়ের সময় কয়েক মাস থেকে কমিয়ে কয়েক মিনিটে নিয়ে আসবে বলেও দাবি করেছে সেরিব্রাস।

প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী অ্যান্ড্রু ফেল্ডম্যান বলেন, “বহু দশক পুরানো প্রযুক্তিগত বাধা তারা কাটিয়ে এসেছে” যা এতোদিন চিপের আকারকে সীমিত করে রেখেছিলো।

ইতোমধ্যেই অল্প কিছু গ্রাহকের কাছে চিপটি সরবরাহ করতে শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে এটির বাজার মূল্য কতো হবে তা জানানো হয়নি।

এই চিপের অসুবিধাগুলো কী কী?

নতুন এই চিপটি অনেক দ্রুত ডেটা প্রসেস করতে পারলেও এটির কিছু অসুবিধার কথা জানিয়েছেন সংবাদ সাইট আনান্দটেক-এর জেষ্ঠ্য সম্পাদক ড. ইয়ান কাট্রিস। এই প্রযুক্তির জন্য কিছু মূল্য দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

“ছোট কম্পিউটার চিপের একটি সুবিধা হলো এগুলো অনেক কম শক্তি খরচ করে এবং তা ঠাণ্ডা করাটা সহজ,” বলেন ড. কাট্রিস।

“আপনি যখন বড় চিপ নিয়ে কাজ করা শুরু করবেন এগুলো সমর্থনে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশেষ কাঠামো লাগবে। ফলে এগুলো বাস্তবিক অর্থে ব্যবহার করতে পারবেন এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সীমিত হয়ে যাবে।”

“এ কারণেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্যই এটি কার্যকর, কারণ বড় অঙ্কের অর্থ এখন এইদিকেই যাচ্ছে।”