চলতিবছরের মে মাসে জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভূক্ত করে মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটির লেনদেনের সুবিধার্থে সাময়িক অনুমোদন দেওয়া হয়,যার মেয়াদ সোমবার শেষ হওয়ার কথা ছিলো।
রসআরও বলেন, হুয়াওয়ের আরও ৪৬টি সহায়ক প্রতিষ্ঠানকে এবার মার্কিন এনটিটি লিস্টে যোগ করাহবে। এই তালিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কোনো ব্যবসা করবে না দেশটি-- খবর বিবিসি’র।
৯০দিনের জন্য হুয়াওয়েকে সুযোগ দেওয়ায় গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো হুয়াওয়ের নিষেধাজ্ঞারসঙ্গে ধীরে ধীরে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে। এতে মার্কিন গ্রাহকরা সহায়তা পাবেন বলেজানিয়েছেন রস।
“আমরাতাদেরকে আরও কিছুটা সময় দিচ্ছি যাতে তারা মানিয়ে নিতে পারে,” বলেন রস।
হুয়াওয়েরপক্ষ থেকে বলা হয়, “আজকের এই সিদ্ধান্তে কোনোভাবেই হুয়াওয়ের ব্যবসায় প্রকৃত প্রভাবপড়বে না।”
রোববারইমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেন, হুয়াওয়ে একটি প্রতিষ্ঠান যার সঙ্গে “হয়তোকোনো রকম ব্যবসা করা হবে না।” এতে অনেকেই ধারণা করেছিলেন হয়তো হুয়াওয়েকে ৯০ দিনের এইছাড়া দেওয়া হবে না।
চীনাসরকারের সঙ্গে গভীর সম্পর্কের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে গুরুতর সমালোচনা মুখোমুখিহয়েছে স্মার্টফোন নির্মাতা চীনা প্রতিষ্ঠানটিকে।
যুক্তরাষ্ট্রঅনেক দিন ধরেই দাবি করে আসছে হুয়াওয়ে তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ফলে চলতিবছরের মে মাসে প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভূক্ত করে দেশটি।
মার্কিনবাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, এনটিটি লিস্টে আসায় সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনোমার্কিন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রযুক্তি নিতে পারবে না হুয়াওয়ে।
অন্যদিকেহুয়াওয়ের দাবি তারা চীনা সরকারের দিক থেকে স্বাধীন এবং জাতীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকির বিষয়টিতীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
মার্কিনযুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে এক বছরের বেশি সময় ধরে বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে।তারই ফলাফল হিসেবে হুয়াওয়ের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা এসেছে বলে ধারণা করা হয়।