লাখ লাখ অ্যান্ড্রয়েড ফোন আসছে ম্যাালওয়্যারসহ: গুগল

ঝকঝকে নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনে যেসব গ্রাহক বাড়ি যাচ্ছেন, তারা হয়তো জানেনও না, আদতে মোবাইলের সঙ্গে ম্যালওয়্যারও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। আর এই তথ্যটি উদ্ধার করেছে অ্যান্ড্রয়েডের নির্মাতা গুগলেরই এক নিরাপত্তা গবেষণা দল।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2019, 11:48 AM
Updated : 11 August 2019, 11:48 AM

মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এতোদিন গুগলের নিজস্ব অ্যাপস্টোর 'গুগল প্লে স্টোর' থেকে ম্যালওয়্যার ডাউনলোড বিষয়ে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়টি একেবারেই নতুন ধরনের। নতুন আবিষ্কৃত এই সমস্যার সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে আছেন সেইসব ক্রেতা যারা ধরেই নেন যে, নতুন কেনা ফোনে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। আরও দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে, প্রি-ইনস্টলড এইসব ম্যালওয়্যার আরও নতুন ম্যালওয়্যার ডাউনলোড করতে পারে, ফোনের মালিককে বিজ্ঞাপন বিড়ম্বনায় ফোলতে পারে, এমনকি বেহাত হতে পারে ফোনের নিয়ন্ত্রণও।

অ্যান্ড্রয়েড একটি ওপেনসোর্স প্ল্যাটফর্ম। অপারেটিং সিস্টেম উন্নতকরণ বা অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের জন্য একে আশীর্বাদ বলা যেতে পারে, কারণ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন যে কেউ এর পরিবর্তন বা উন্নয়ন ঘটাতে পারেন। সমস্যা হলো, যখন এই উন্মুক্ততার সুযোগ নিয়ে কেউ এর অপব্যবহারের চেষ্টা চালান।- মন্তব্য এসেছে ফোর্বসের প্রতিবেদনে।

নিরাপত্তা গবেষক ম্যাডি স্টোন কাজ করছেন গুগলের প্রজেক্ট জিরো-তে। দলের গবেষণালব্ধ ফলাফল তিনি প্রকাশ করেছেন গিটহাবে। সেখানে তিনি মন্তব্য করেছেন- ফোনে প্রিইনস্টলড অবস্থায় ম্যালওয়্যার এলে এর ফল হতে পারে বেশি ক্ষতিকর।

ফোনে আগে থেকেই ম্যালওয়্যার ইনস্টলের ঝুঁকিতে আছে 'অ্যান্ড্রয়েড ওপেন-সোর্স প্রজেক্ট' বা এএসওপি সংস্করণ ব্যবহার করা হয়েছে এমন ফোন। এটি মূলত অ্যান্ড্রয়েডের স্বল্পমূল্যের সংস্করণ। সাধারণত কমদামী অ্যাডন্ড্রয়েড ফোনেই এই সংস্করণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

গবেষকদলটি প্রায় ২০০টি মডেলের ফোনে এই ঝুঁকি পেয়েছে। তবে তারা ওই ব্র্যান্ডগুলোর নাম প্রকাশ করেননি।