বাণিজ্য সাময়িকী বিজনেস ইনসাইডারের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ফলে এই সিদ্ধন্ত নিয়েছে ফেইসবুক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি।
বিজনেস ইনসাইডের প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রাহকের প্রোফাইল স্ক্র্যাপিং, ছবি কপি করা এবং ডেটা পাচার করার কাজ করছিলো হাইপার। এই ডেটাগুলো ২৪ ঘন্টা পর মুছে ফেলার কথা ছিলো প্রতিষ্ঠানটির।
ইনস্টাগ্রামের পক্ষ থেকে বলা হয়, হাইপার আমাদের নীতিমালা অমান্য করেছে এবং ডেটা মজুদ বন্ধ করতে তাদেরকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে হাইপারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা যে সামাজিক মাধ্যমগুলোয় কাজ করছে তাদের গোপনীয়তা নীতিমালা এবং সেবার শর্তাবলী মানা হচ্ছে-- খবর বিবিসি’র।
কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা তথ্য কেলেঙ্কারির পর ইনস্টাগ্রামের মালিক প্রতিষ্ঠান ফেইসবুকের উচিত ছিলো ডেটা প্রশ্নে আরও যত্নশীল হওয়া- মন্তব্য করা হয়েছে বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে।
বিজনেস ইনসাইডারের তদন্তে দেখা গেছে, এক মাস ধরে দশ লাখ ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে ডেটা মজুদ করছে হাইপার। ইনস্টাগ্রামে স্টোরিজ ফিচারটির তথ্য দ্রুত মুছে যায়। সেখান থেকেও ডেটা মজুদ রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই প্রক্রিয়ায় গ্রাহকদের বিস্তারিত ব্যক্তিগত রেকর্ড বানিয়েছে হাইপার। এর মধ্যে রয়েছে গ্রাহকের ছবি, জীবনীসংক্রান্ত তথ্য এবং গ্রাহক কোথায় থাকছেন, কাজ করছেন, ভ্রমণ করছেন সব তথ্য রয়েছে। এমনকি গ্রাহকের কী নিয়ে আগ্রহ রয়েছে তাও মজুদ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিজনেস ইনসাইডারের তদন্তের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটিকে প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইনস্টাগ্রাম। আর প্রতিষ্ঠানটির ‘ফেইসবুক মার্কেটিং পার্টনার’ অবস্থানও বাতিল করা হয়েছে।
“হাইপারের কার্যক্রম অনুমোদিত নয় এবং আমাদের নীতিমালা অমান্য করেছে,”-- আনুষ্ঠানিকভাবে বলেছে ইনস্টাগ্রাম।
“আমরা আমাদের পণ্যেও কিছু পরিবর্তন এনেছি, যা হাইপারের মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে গ্রাহকের ডেটা নেওয়ায় বাধা দিতে সহায়তা করবে।”
অবশ্য হাইপার যে ডেটা নিয়েছে তার সবই পাবলিক তথ্য বলেও জানিয়েছে ইনস্টাগ্রাম।
হাইপার প্রধান কার্লোস গার্সিয়া বলেন, “আমরা এমন কোনো কনটেন্ট বা তথ্য দেখিনা যেগুলো সবাই অনলাইনে পাবিলিকলি অ্যাকসেস করতে পারেন না।”
ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে এই জটিলতা শীঘ্রই সমাধানের ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী গার্সিয়া।