অনেক দিন ধরে মেডেল বানানোর জন্য পুরানো গ্যাজেট সংগ্রহ করে আসছে সংস্থাটি। মেডেল বানানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ ধাতব উপাদান জোগাড় হওয়ায় এটি উন্মোচন করা হয়-- খবর প্রযুক্তি সাইট ভার্জের।
ঠিক এক বছর পর শুরু হবে টোকিও অলিম্পিক ২০২০। মেডেলটির নকশা করেছেন জুনিচি কাওয়ানিশি। ৪০০ এর বেশি পেশাদার নকশাবিদ ও এ বিষয়ের শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে অলিম্পিক মেডেলের নকশার দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।
মেডেলগুলো ব্যাস ৮৫ মিলিমিটার, এর সবচেয়ে পাতলা অংশটির মাপ ৭.৭ মিলিমিটার এবং সবচেয়ে পুরু অংশের মাপ ১২.১ মিলিমিটার। গোল্ড মেডেল বানানো হয়েছে বিশুদ্ধ রুপার ওপর ৬ গ্রাম স্বর্ণের আস্তর দিয়ে। সিলভার মেডেল বানানো হয়েছে বিশুদ্ধ রুপা দিয়ে। আর ব্রোঞ্জ মেডেল তৈরি করা হয়েছে ৯৫ শতাংশ কপার ও পাঁচ শতাংশ জিংকের সংকর দিয়ে।
আইওসি’র নীতিমালা অনুযায়ী মেডেলে রাখা হয়েছে অলিম্পিকের পাঁচ রিং, গেইমের আনুষ্ঠানিক নাম এবং প্যানাথেনিয়াক স্টেডিয়ামের সামনে গ্রিক জয়ের দেবী নাইকির ছবি।
২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে থেকে দুই বছর যাবত পুরানো ডিভাইস সংগ্রহ করে আসছিলো টোকিও অলিম্পিক ২০২০ আয়োজকরা। এই প্রকল্পের আওতায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস দান করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা।
৬২ লাখ ১০ হাজার মোবাইল ফোনসহ মোট ৭৮৮৯৫ টন গ্যাজেট জোগাড় করা হয়েছে। এর থেকে পাওয়া গেছে ৩২ কেজি সোনা, ৩৫০০ কেজি রুপা এবং ২২০০ কেজি ব্রোঞ্জ।